ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হেরে গেলেন ষড়যন্ত্রকারীরা : বিদিশা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫১ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:২৩ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার নিজ জেলা রংপুরেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরশাদের রংপুরের বাসভবন পল্লীনিবাসের পাশে তার হাতে গড়া লিচুবাগানে তাকে সমাহিত করা হবে। এর আগে রংপুরে এরশাদকে দাফনের বিষয়ে সেখানকার নেতাকর্মীদের দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।

তিনি বলেছেন, রংপুরের পল্লী নিবাসের মাটিই যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। তার এমন ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর জাতীয় পার্টিও সিদ্ধান্ত নেয় এরশাদের কবর রংপুরেই হবে। এরপর তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন,‘রংপুরবাসীর বিজয়,হেরে গেলেন ষড়যন্ত্রকারীরা।’

এর আগে তিনি আর একটি ফেসবুক স্ট্যটাসে লিখেন,‘তাই যেন হয়, আমিও তাই চাই। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের মতো রংপুরের মাটি যেন হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। সহধর্মিনী থাকতে বহুবার পল্লী নিবাসে বারান্দায় ছেলে এরিককে কোলে বসিয়ে উনি আমাকে বলেছিলেন,‘তুমি আমার ছোট, দেখ আমার মৃত্যুও যেন আমার ছেলের কাছে থেকে দূরে না রাখে। আমার কবর আমি এই পল্লী নিবাসে চাই। রংপুরের মানুষের ভালোবাসা প্রতিদান আমি দিতে পারিনি আজও। রংপুরের মানুষ আমার কবরে এসে দোয়া করবে,এটাই আমার চাওয়া।’

বিদিশা জানান, এরশাদ একাধিকবার তার সমাধি পল্লী নিবাসের লিচুতলায় করার কথা তাকে বলে গেছেন। তিনি লিখেন, ‘প্রতিবার এই কথাটি বলতেন তিনি এরিকের দিকে তাকিয়ে,ভেজা চোখে। আজ সদ্য বাবা হারা ছেলে আমার মায়ের আশ্রয়েও নেই। এরিকের চোখের পানিতে পাথরও গলে যায়। কিন্তু গলে না রাজনীতিবিদদের মন। আমার ছেলে এরিককে আটকিয়ে রাজনীতি কোন ফায়দা লুটবেন এনারা?’ তিনি লিখেছেন, ‘দোয়া করি রংপুরের পল্লীনিবাস যেন শেষ ঠিকানা হয়।’

এরশাদকে রংপুরে কবর দেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, ভাবি (রওশন এরশাদ) বিভিন্ন কারণে চাচ্ছিলেন তাকে ঢাকায় দাফন করতে। তবে রংপুরের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার কারণে সর্বসম্মতভাবে আমরা তাকে এখানেই সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এনএম/কেআই