ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ পশুর মজুদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশু মজুতের পাশাপাশি কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে  সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় আরসিদ্ধান্ত হয়,ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের গবাদি পশুর অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

সভায় জানানো হয়, এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ,৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। গত বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ।

সভায় আরও জানানো হয়,আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাট-বাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারেও কাজ করবে দুটি করে ভেটেরিনারি টিম। এবার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাট বসবে। স্বাস্থ্যহানিকর স্টরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধদিফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান পশু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায় রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবষেণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্নি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/কেআই