ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মিন্নি গ্রেফতার কেন, খতিয়ে দেখতে বলেছে সংসদীয় কমিটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:১৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

বরগুনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করায় সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে প্রভাবশালী কারও ইন্ধন রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।

কমিটির সদস্য ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান রিফাত হত্যার প্রধান সাক্ষী তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘কেউ দোষী হলে তার শাস্তি হোক, সেটা আমরা চাই। কিন্তু কারও প্ররোচনায় মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’  

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে পীর ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিন্নিকে হঠাৎ করে গ্রেফতার করায় বিভিন্ন আলোচনা উঠেছে। আমি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলেছি, মিন্নিকে কারও প্ররোচনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, সেই আলোচনাও বিভিন্ন মহলে উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে চেয়েছি।’ 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আলোচিত রিফাত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। এই ঘটনার গুড অ্যান্ড বেটার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনও উপসংহার টানা যাবে না।’

বরগুনায় গত ২৬ জুন রিফাত শরিফকে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনায় উঠে আসে। পরদিন নিহত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে যে মামলাটি করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকেই। সম্প্রতি মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে পত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। পরদিনই শ্বশুরের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্নি দাবি করেছিলেন, তার শ্বশুর ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় পড়ে এসব বানোয়াট কথা বলছেন।

পরে মঙ্গলবার মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশ জানায়, ওই হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। এদিকে আজ আদালতে মিন্নি তার স্বামী রিফাত হত্যার আসামীদের ফাঁসি দাবি করেন।

এসি