ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিন্ধু বিজয়ের মহানায়ক মুহম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আজ উমাইয়া সেনাপতি ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফির মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ৭১৫ সালের ১৮ জুলাই তাইফে (বর্তমান সৌদি আরব) মৃত্যুবরণ করেন। মুহাম্মাদ বিন কাসিম জন্মগ্রহণ করেন ৬৯৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

সিন্ধু নদসহ সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল তিনি জয় করে উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করেন। তার সিন্ধু জয়ের কারণে মুসলিমদের পক্ষে ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়।

মুহাম্মদ বিন কাসিম তাইফের সাকিফ গোত্রের সদস্য ছিলেন। তার পিতা কাসিম বিন ইউসুফ তার বাল্যকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার চাচা উমাইয়া গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে যুদ্ধবিদ্যা ও সরকার পরিচালনা শিক্ষা দেন। সিন্ধু যাত্রার পূর্বে মুহাম্মদ বিন কাসিম তার চাচাত বোন হাজ্জাজের কন্যা জুবাইদাকে বিয়ে করেন। তার আরেকজন চাচা মুহাম্মদ বিন ইউসুফ ইয়েমেনের গভর্নর ছিলেন। হাজ্জাজের পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ বিন কাসিম পারস্যের গভর্নর হন। সেখানে তিনি একটি বিদ্রোহ দমন করতে সফল হন।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা থাকার কারণে খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকের ক্ষমতাগ্রহণের পর তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

মুহাম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যু মর্মান্তিক ঘটনা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে অনেক রোমাঞ্চকর কাহিনী প্রচলিত আছে। পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে দাহিরের দু’কন্যা সূর্যদেবী ও পরিমলদেবী কাসিমের হাতে অপমানিত ও লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ খলিফাকে জানান। খলিফা কাসিমকে বস্তায় বন্ধী করে ঘোড়ার পেছনে বেঁধে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। কাসিমের মৃত্যুর পর দাহিরের দু’কন্যা তাদের ছলচাতুরি প্রকাশ করেন। এ ঘটনাকে আধুনিক ঐতিহাসিকগণ ভিত্তিহীন তথ্য বলে উড়িয়ে দেন।

আধুনিক অনেক ঐতিহাসিক ঐক্যমত পোষন করে বলেছেন, কাসিমকে রাজধানী দামাস্কাকে আহবান করে কারারুদ্ধ করে খলিফার আদেশে হত্যা করা হয়। তবে সিন্ধু বিজেতা মুহাম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যু যেভাবেই হোক, তার উত্থানের মত পতনও ইতিহাসের এক নাটকীয় ঘটনা।

এসএ/