ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শার্শায় প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ০৮:১৮ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

যশোরের শার্শায় প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাতে শার্শার গোগা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। এ ঘটনায় দুই দিন ধরে গ্রাম্য শালিস ডাকা হলে সেখানে হাজির হননি অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ (৪৫)। 

অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শার্শার গোগা পশ্চিম পাড়ার হাজী আবদার আলীর ছেলে আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। এ কারণে একমাত্র শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর ভিটায় একাই বসবাস করেন তার স্ত্রী। এরই সুযোগ নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা রাতের কোন এক সময় অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ প্রবাসী আব্দুস সালামের স্ত্রীর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। 

এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল হামিদ খাটের নিচ থেকে বের হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় আব্দুস সালামের স্ত্রী চিৎকার দিয়ে স্বজনদেরকে ডাক দেয়। তখন ঘরের আলোয় হামিদকে চিনতে পারায় পাশে থাকা ওড়না দিয়ে সালামের স্ত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তৎক্ষণাৎ আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে আব্দুল হামিদ পালিয়ে যান।
 
পরে ব্যাপারটি জানাজানি হলে সালামের ভাইয়েরা থানাকে অবহিত করতে চায়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদেরকে থানায় যেতে বাধা দেয় এবং সঠিক বিচার করবেন বলে আশ্বাসও দেন। 

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য শালিস বসলেও অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ বিচারে হাজির হননি। পরদিন বুধবারও বিচার বসলেও হাজির হননি তিনি।
 
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ গ্রামে একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি ভারতেও হামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুস সালামের স্ত্রী ও তার পরিবারের স্বজনরা জানান, হামিদ বিভিন্নভাবে তাদেরকে মামলা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। 

এলাকার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য। আমরা এর সঠিক বিচার করতে চাই। তিনি বলেন, লম্পট হামিদ বিচারে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হামিদের মুঠো ফোনে ০১৭৯৯৩১৬৯৫৯ যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

জানতে চাইলে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে কেউ অভিযোগ করলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 
এনএস/আরকে