ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করল আইসিসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসিতে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ক্রিকেটে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার লন্ডনে আইসিসির বাৎসরিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জুন মাসে জিম্বাবুয়ে সরকারের ক্রীড়া ও বিনোদন বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশটির পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বহিষ্কার করে। আর তার বদলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করেছে।

আইসিসি’র চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন, আমাদের অবশ্যই খেলাকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে হবে। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে যা ঘটেছে সেটি আইসিসি’র সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন।

এদিকে, সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে আপাতত আইসিসির কোনও ক্রিকেট আয়োজনে অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ে। আসছে অক্টোবরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলায় জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণের কথা ছিল। তবে অক্টোবরে আইসিসি তার সিদ্ধান্ত আবার পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে। তাতে পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বদল না হলে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলায় অংশগ্রহণ করা জিম্বাবুয়ের পক্ষে সম্ভব হবে না।

শুধু তাই নয়! জিম্বাবুয়েকে আইসিসি যে অর্থ সহায়তা দিতো তাও প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও নানা সময়ে শাস্তির মুখে পড়েছে জিম্বাবুয়ে ও দেশটির ক্রিকেট কর্মকর্তারা। ২০০৪ সালে অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে দেশটির জাতিয় দলের ১৫ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সে সময় জিম্বাবুয়ের টেস্ট মর্যাদা স্থগিত করেছিল আইসিসি। ২০০৫ সালে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এছাড়া, অন্তত তিনবার আইসিসি’র দুর্নীতি বিরোধী আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেট পরিচালকের উপর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। আর এর পরপরই জিম্বাবুয়ের আর এক ক্রিকেট কর্মকর্তাকে ২০১৮ সালের একটি খেলা পাতানোর অভিযোগে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এবারের বিশ্বকাপে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করেনি জিম্বাবুয়ে।