ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরে বিয়ে দিয়ে দিলেন স্বামী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

দীর্ঘ দিন ধরেই এক ড্রাইভারের স্ত্রী তার অবর্তমানে লুকিয়ে প্রেম করে আসছেন অন্য এক যুবকের সঙ্গে। যদিও এই কথা ড্রাইভার নিজেও জানতেন, তবে হাতেনাতে ধরতে পারেননি। একথা শুধু তিনি নন, জানতেন পরিবার ও এলাকার লোরেরাও। যে যুবকের সঙ্গে ড্রাইভারের স্ত্রী সম্পর্ক স্থাপন করেছে তিনি একজন পুলিশকর্মী। এবার সেই প্রেমীক পুলিশের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন ড্রাইভার।

জানা গেছে, ড্রাইভার যখন কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে যায় ঠিক তখন সেই পুলিশ যুবক তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলে আসেন। অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবারও ওই পুলিশকর্মী তাদের বাড়িতে আসে। যা টের পেয়ে যায় এলাকার লোকজন। পুলিশ যুবক যখন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তখন এলাকার লোকজন বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ওই নারীর স্বামীকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ড্রাইভার স্বামী ছুঁটে আসেন। জানতে পারেন স্ত্রীর এই অনৈতিক সম্পর্কের কথা। তখন উত্তেজিত জনতার সামনে ড্রাইভার স্বামী ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে নিজের স্ত্রীর ‘বিয়ে’ দিয়ে দেন। ড্রাইভারের সামনেই ওই পুলিশকর্মী তার স্ত্রীকে শাঁখা, সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেন। যদিও এই ‘বিয়ে’ আইনসম্মত নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বংশীহারি থানার ডিটল এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর দু’য়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় থানায় কর্মরত ওই পুলিশকর্মীর। এরপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তারপর ওই পুলিশকর্মী মাঝে মধ্যেই ড্রাইভারের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে আসতেন। ঘটনার দিন দুপুরেও ড্রাইভার বাড়িতে ছিলেন না। যখন ওই পুলিশকর্মী তার বাড়িতে আসেন তখন এলাকার মানুষ তাকে দেখে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং ড্রাইভারকে খবর দেয়। ড্রাইভার ফেরার পরে দরজা খুলে দেখা যায় ওই পুলিশকে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বংশীহারি থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই যুগলকে নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এরপরই গৃহবধূর স্বামী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমিক পুলিশের ‘বিয়ে’ দিয়ে দেন। পুলিশের গাড়িতেই ‘বিয়ে’ হয় প্রেমিক যুগলের। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে গৃহবধূকে শাখা সিঁদুর পরিয়ে দেন প্রেমিক পুলিশ। এরপর দু’জনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গৃহবধূর দুই ছেলে রয়েছে।

ড্রাইভার স্বামী জানান, স্ত্রীর পায়ে ব্যথা, তাই ওষুধ দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ তাকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলা হয়। তখন সে ভেবেছে যে বাড়িতে কারও মনে হয় কিছু হয়েছে। তাই দ্রুত বাড়ি আসেন। কিন্তু এসে দেখেন ঘরে তালা। আর স্ত্রী রয়েছেন অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘরের ভেতর। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসএ/