ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কিংবদন্তী অভিনেতা নাসির উদ্দিন শাহ’র জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার

নাসির উদ্দিন শাহ্‌। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক নক্ষত্রের নাম। আজ ২০ জুলাই, এই কিংবদন্তীর জন্মদিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে ইন্ডিয়ার উত্তর প্রদেশের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আফগান বংশোদ্ভূত এই ভারতীয় অভিনেতা। তার পিতা আলী মুহাম্মাদ শাহ এবং মাতা ফাররুখ সুলতান। নাসির উদ্দিন শাহ ভারতীয় সিনেমায় একাধারে কাজ করেছেন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে। ভারতীয় সিনেমার মূল ধারায় যেমন তিনি ছিলেন সেরা, তেমনই বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন সগৌরবে।

তিনি সেন্ট অ্যাঞ্জেলস স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ননিতলা সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক শাখায় গ্রাজুয়েশন শেষ করেন।

১৯৮০ সালে ‘হাম পাঞ্চ’ নামে সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ভারতীয় মূলধারার চলচ্চিত্রে নাম লেখান। ১৯৮২ সালে ইসমাইল স্রেফ নির্মিত ‘দিল আখির দিল হ্যাঁয়’ সিনেমায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী রাখির বিপরীতে। ১৯৮৩ সালে অভিনীত ‘মাসুম’ সিনেমাটি তার অভিনীত অন্যতম আলোচিত সিনেমা। ‘কারমা’ সিনেমায় ১৯৮৬ সালে পর্দায় আসেন দিলীপ কুমারের সঙ্গে।

তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘নিশান্ত’, ‘আক্রোশ’, ‘মির্চ মাসালা’, ‘তিরকাল’, ‘ভবানী ভবাই’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘কথা’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ প্রভৃতি।

‘ইজাজাত’, ‘জালওয়া’, ‘হিরো হিরালাল’ এই তিন সিনেমায় অভিনয় করে তারকার দৌঁড়ে নাম লেখান তিনি। ১৯৮৮ সালে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘দ্য পারফেক্ট মার্ডার’ এ গোয়েন্দা চরিত্র ‘ইনস্পেক্টর ঘটি’ হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তারই স্ত্রী রত্না পাঠক এর বিপরীতে। ‘ক্যাপ্টেন নিমো’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন একটি আন্তর্জাতিক সিনেমায়। তার অভিনীত দ্বিতীয় পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ‘জিন্দা ভাগ’ মোট আশিটি বিভাগে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে।

তার নির্মিত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ইয়া হোতা তো ক্যা হোতা’ যেখানে অভিনয় করেন কংকনা সেন, ইরফান খান, আয়শা টাকিয়ার মতো গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। পাশাপাশি ‘মল্টে প্রোডাকশন’ নামের থিয়েটার গ্রুপ নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। অভিনয় করেছেন মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রেও।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন- পদ্মশ্রী পুরস্কার। এটি পান ১৯৮৭ সালে। ২০০৩ সালে পান পদ্মভূষণ পুরস্কার। ১৯৭৯, ১৯৮৪ এবং ২০০৬ সালে পর পর তিনবার পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনবার। ‘পার’ সিনেমার জন্য ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পান ‘ভল্পি কাপ’ অ্যাওয়ার্ড। ২০০০ সালে অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে ‘সঙ্গীত-নাটক’ অ্যাওয়ার্ড এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড’।

এসএ/