ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নিয়ে ট্রাম্পের বেফাঁস মন্তব্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার

তিনি বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধান। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত নিজেদের কূটকৌশল ও ক্ষমতার পরাক্রম অবস্থানের জানান দিতে সব সময়ই সিদ্ধ হস্ত তারা। কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই কিনা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে জানেন না।

নেন না তারা নিজ দেশ থেকে কিভাবে বিতাড়িত হয়ে পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার এই না জানা কি নিতান্তই ভনিতা নাকি সত্যিই বিষয়টি অজানা। বিষয়টিতে অবাক হয়েছে বিশ্ব। 

নিজের বক্তব্যের জন্যই বেশ সমালোচতি এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় কিছু না কিছু বেফাঁস কথা বলেই ছাড়বেন। এটা তো নতুন কিছু নয়। 

বর্তমান বিশ্বে রোহিঙ্গাদের জন্য উদ্বেগ বিরাজ করছে। মাথা ঘামিয়ে রীতিমত হতাশই হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। সেই সময়েই রোহিঙ্গাদের অবস্থা নিয়ে না জানাটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য কতটুকু শোভনীয়? 

রোহিঙ্গারা কোথায় শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন? তাদের সমস্যা কী নিয়ে? কোনও কিছুই যেন জানেন না এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই তো ওভাল অফিসে এক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সবার সামনেই প্রশ্ন করে বসলেন, ‘রোহিঙ্গা! কোথায় সেটা?’

ধর্মের নামে অত্যাচারিত হয়েছেন এমন বিভিন্ন দেশের মানুষদের নিয়ে তৈরি একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গত বুধবার নিজের ওভাল অফিসে দেখা করেন ট্রাম্প। ঐ প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইরাকে ইয়াজিদি নারীদের হয়ে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করা নোবেলজয়ী নাদিয়া মুরাদ।

এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের এক রোহিঙ্গা মুসলিমও। ঐ রোহিঙ্গা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এ কাণ্ড করে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ঐ ব্যক্তি ট্রাম্পকে জানান, দু’বছর আগে মিয়ানমার সেনাদের অত্যাচারে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে রয়েছেন বাংলাদেশের একটি শরণার্থী শিবিরে। কিন্তু তারা দেশে ফিরতে চান। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

এরপর ট্রাম্প বলে ফেলেন, ‘এটা আসলে কোথায়?’ এরপরই তাকে জানানো হয়, মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। 

তবে ঐ সভায় আরও একটি ভুল করেন বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নাদিয়া মুরাদকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ‘আপনি কেন নোবেল পেয়েছেন?’ যদিও নাদিয়া এরপর নিজের লড়াইয়ের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন, পাশাপাশি ইয়াজিদি পরিবারদের জন্য কিছু করার আবেদনও জানান তিনি।

এমএস/