ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

বেড়েছে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:১৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার

দেশের উত্তরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে মধ্যাঞ্চলে। অনেক জায়গায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে নদনদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কাটেনি। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে পানি বাহিত রোগ-বালাই।

বাড়ির চারপাশে থৈ থৈ পানি। গাইবান্ধার রিকশাচালক সুমন মিয়া সাড়ে তিনশ’ পরিবারের সাথে ৬ জনের পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কালীবাড়ি পাড়ায় জুবিলী স্কুলে। শহরের বেশিরভাগ জায়গা পানিতে ডুবে যাওয়ায় আয়-রোজগার নেই। তার মতো কষ্টে আছেন আরও ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ।

টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। ধসে যাওয়া সড়ক মেরামত করছে সেনাবাহিনী।

বগুড়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট ছাড়াও দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় জেলার দুই শতাধিক পরিবার রয়েছেন দুর্ভোগে।

জামালপুরের ৭ উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দী। বন্ধ রয়েছে ৫ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা সদরের সাথে যমুনা সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত ট্রেন চলাচল এবং তারাকান্দি, ভুয়াপুর, সরিষাবাড়ী ও দেওয়ানগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে, জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি সামান্য কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। জেলার পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর এখনও জলমগ্ন।

সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।

মৌলভীবাজারে ধলই ও মনু নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি এখনও বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে নলকূপ পানিতে ডুবে থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট কাটেনি; আছে খাদ্যেরও অভাব। লক্ষাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, বন্ধ ১৬৮টি বিদ্যালয়।

নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী, উব্ধাখালি ও ধনুসহ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। দুর্গত এলাকায় অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ বিতরণ। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার ৪৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।