ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অপ্রচলিত ফল বিলাতিগাব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১০:২৭ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রবিবার

নতুন প্রজন্মের কাছে বিলাতিগাব অপরিচিত একটি ফল শহর অঞ্চলে ফলটি কম দেখা যায় তবে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে প্রচুর দেখা যায় পাকলে ফলটি দেখতে খুব সুন্দর লাল ও লাল-গোলাপী রঙের এবং কাঁচা অবস্থায় সবুজাভ বাদামী রঙের হয়ে থাকে

বিলাতিগাব গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros discolor বা Diospyros blancoi যা Ebenaceae পরিবারভুক্ত। ইংরেজিতে একে Mabolo, Korean mango বা Velvet-apple বলা হয়। এটি সুস্বাদু ও মিষ্টি ফল। এর আদি নিবাস ফিলিপাইন ও চীনে বাংলাদেশ ছাড়া ভারতেও পাওয়া যায়

গাব গাছ সর্বোচ্চ ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কান্ড কালচে, যার ব্যাস ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাতা সবুজ ও চকচকে হয় একই গাছে আলাদা আলাদাভাবে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল ফোটে নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল ফোটে এবং মে-আগস্ট মাসে ফল পাকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই ফলটি প্রচুর ফলে

কাঁচা অবস্থায় ফলটির উপরিভাগ মখমলের মতো ফলটি পাকলে ভেতরটা সাদা। তিন-চারটি কালো রঙের বীজ থাকে পাকা ফল থেকে তীব্র গন্ধ পাওয়া যায় ফলের ভেতরে শিরা যুক্ত মিষ্টি শাঁস রয়েছে

আপেলের আকারের এই ফলগুলো গোলাকার হয় প্রায় ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা ও ২-৪ ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত এবং ওজনে ১০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। গ্রামগঞ্জে জনপ্রিয় একটি ফল।

পুষ্টিগুণ

বিলাতী গাব বেশ পুষ্টিকর। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম বিলাতী গাবে খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬০ কিলোক্যালরি। যা জাতীয় ফল কাঁঠাল, বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারা, কাগজী লেবু, কমলা, জাম, পেঁপে, আনারস, এমন আমলকীর চেয়ে বেশি।

এছাড়া সমপরিমাণ বিলাতী গাবে পানীয় অংশ রয়েছে ৮৪ দশমিক ৯ গ্রাম, খনিজ পাদার্থ ০ দশমিক ৮ গ্রাম, আঁশ ১ দশমিক ৫ গ্রাম, আমিষ ০ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ১ গ্রাম, শকরা ১৪ দশমিক ৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০ দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম এবং লৌহ রয়েছে ০ দশমিক ২ মিলিগ্রাম।

ওষুধি গুণ

আয়ুর্বেদীয় মতে, এ ফল রক্ত-আমাশয় ও উদরাময় রোগে ব্যবহৃত হয়। মুখের ও গলার ঘা ধৌতকরণের কাজেও বিলাতী গাব ফলদায়ক বলে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগির জন্য কাঁচা ও পাকা গাব উপকারী।

এএইচ/কেআই