ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দরিদ্র পরিবারের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১২৮ কোটি টাকা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রবিবার

টানাটানির সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা। অথচ তাদের এক মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২৮ কোটি টাকার, যা প্রায় একটা গোটা শহরের বিলের সমান। তা দেখে মাথায় হাত ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি পরিবারের।

রাজধানী দিল্লি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার চামরি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সপরিবারে সেখানে বাস শামিম নামের এক ব্যক্তির। অনেক কষ্টে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলেন। তাতেই এই পরিণতি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামিম জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। আলো-পাখা মিলিয়ে প্রতি মাসে ৭শত টাকার মতো বিল আসে।

কিন্তু সম্প্রতি বিল হাতে পেয়ে চোখ কপালে ওঠে তার। তাতে ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা মেটাতে বলা হয়।

শামিমের দাবি, প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। সম্বিৎ ফিরলে ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরে। হিসাবে কোথাও ভুল হয়েছে বলে জানান।

কিন্তু তার কথা কানে তোলেননি কেউ। ওই টাকা মেটানোর সামর্থ্য ছিল না তার। তাই টাকা জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শামিম জানান, ‘কেউ আমাদের কথা শুনছে না। এত টাকা কী করে দেই বলুন তো? শুধু আলো-পাখা ব্যবহার করি আমরা।

তাতে এত বিল হয় কী করে? মনে হচ্ছে, গোটা হাপুরের বিলই পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিল না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিদ্যুত্ দফতর।’

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে যোগাযোগ করা হলে, তাদের ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ বলেন, ‘সম্ভবত প্রযুক্তিগত ভুল হয়েছে। এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। আকছার হয়েই থাকে। বিলটি হাতে পেলে, সবকিছু খতিয়ে দেখব আমরা। ভুল হয়ে থাকলে, তা সংশোধন করে নতুন বিল দেওয়া হবে ওই পরিবারকে।’

এর আগে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বসিত। বাড়িতে কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে ২৩ কোটির বিল ধরানো হয়।

আট লাখ ৬৪ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়ে গত বছর মে মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদের এক সবজি বিক্রেতা। সেই ঘটনায় গাফিতলিত অভিযোগে বিদ্যুৎ দফতরের অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টকে সাসপেন্ড করা হয়।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/