ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন খারিজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৪:১২ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রবিবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মামলাটিতে আইনগত বাধা রয়েছে। যে কারণে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

এদিন সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালতে আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন। অন্যদিকে একই অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে আবেদন করেন মো. ইব্রাহিম খলিল। সেই মামলাটিও আদালত খারিজ করে দেন। শুনানি শেষে আইনজীবী জানান, আদালত বলেছেন আসামি সরকারের প্রতিনিধি না হওয়ায় মামলাটি খারিজ করা হলো।

বুধবার (১৭ জুলাই) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার বিশ্বের ১৯টি দেশের ২৭ জনের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। এই ২৭ জনের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী প্রিয়া সাহা ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যাওয়া এক রোহিঙ্গা নাগরিক।

এই কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে প্রিয়া সাহাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করতে দেখা গেছে। এমনকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধও করেন।

শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেন প্রিয়া সাহা। ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই বসবাস করতে চাই। এখনো সেখানে ১৮ মিলিয়ন সংখ্যালঘু মানুষ বাস করছেন। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে বাস করতে চাই। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি, তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, আমার জমি দখল করে নিয়েছে কিন্তু এখনও এর কোনো বিচার হয়নি।’

এ পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানতে চান, এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে? জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা সবসময়ই রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেয়ে আসছে।