ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ট্রাম্পের কাছে নালিশ নিয়ে ভিন্ন সুর প্রিয়া সাহার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯ রবিবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের ধর্মীর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ‘ভয়ষ্কর’ অভিযোগের পর মুখ খুললেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।

নিজের গঠন করা এনজিও ‘শারি’র একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্পের কাছে নালিশের প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানান তিনি।

ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি বলেন,‘আসলে এই কথাগুলো আমি কেন বলি, প্রথমে তো এই কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বাচনোত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন।

সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার অনুসরণে আমি বলেছি। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে,যে কোনো জায়গায় বলা যায় এটা আমি তার কাছে শিখেছি।

তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন। সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার অনুসরণ করেছি। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় যে কথা বলা যায়, এটা আমি তার কাছ থেকে শিখেছি।

প্রিয়া বলেন, ‘২০০১ সালে তখনকার সাম্প্রদায়িক সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এবং আওয়ামী লীগের ওপরে যে চরম নির্যাতন চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীতে কীভাবে সংগ্রাম করেছেন সেটা আপনারা সবাই অবগত আছেন। ২০০১ সালের পরিসংখ্যান বইয়ের যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর চ্যাপ্টার রয়েছে সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা রয়েছে।’

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। তার নিজের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


 টিআর/