ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

আজ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার অদূরে বর্তমান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া  থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে এ দেশের ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সব আন্দোলনেই তাজউদ্দীন আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াতলে থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রেখে তিনি ধীরে ধীরে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে সফল ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার বীরোচিত ভূমিকায়ই মূলত মাত্র ৯ মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এটি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নে তিনি ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেদিন তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয়। পরে তাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে আটক অবস্থায় ঘাতকচক্র তাজউদ্দীনসহ আরও তিন জাতীয় নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো এই চার জাতীয় নেতার হত্যার বিচারও রুদ্ধ করে রেখেছিল ঘাতকচক্র। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। পরে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও নানা জটিলতা শেষে ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই হত্যার বিচার শেষ করার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন আজ বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাজউদ্দীন আহমদের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা প্রভৃতি। তার জন্মস্থান কাপাসিয়ায়ও নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এসএ/