ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জনসনই হচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই নিশ্চিত হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের সমীকরণ মেলানোর দায়িত্ব ও কনজার্ভেটিভ পাটির নেতৃত্ব কার কাঁধে উঠছে। লন্ডনের সাবেক মেয়র ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন অথবা বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট- এ দুই প্রার্থীর মধ্যে যেকোনো একজনের কাঁধে ওঠার কথা। 

তবে যুক্তরাজ্যের বাতাসে ভাসছে, সে ভার উঠছে সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী বরিস জনসনের কাঁধে। থেরেসা মে’র সরে যাওয়ার ঘোষণা পর থেকেই যুক্তরাজ্যের শাসন ক্ষমতায় দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নির্বাচনের আগে প্রকাশিত এক জরিপেও ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এমন খবরই দিচ্ছে। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জেরেমি হান্ট পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। তাহলে কি জনসনই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী!
 
সোমবার কনজার্ভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য দলীয় ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দেন। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ওয়েস্টমিনস্টারের কিউই-২ নির্বাচনে ফলাফর ঘোষণা করার কথা রয়েছে। যিনি আজ নির্বাচিত হবেন আগামীকাল বুধবার তিনি হবে থেরেসা মে’র স্থলাভিষিক্ত। খবর বিবিসির। 

এদিকে, জরিপের খবর যদি সত্য হয়, তাহলে তার সঙ্গে কাজ করার অনাগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন বর্তমান মন্ত্রীসভার অনেক সিনিয়র নেতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হামন্ড। 

ব্রেক্সিট ব্যর্থতায় চলতি বছরের গতমাসে পদত্যাগ করেন থেরেসা মে। মঙ্গলবার শেষবারের মতো বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মে। 
এরপর বুধবার রানির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিবেন তিনি। এরপরই বাকিংহাম ঘুরে এসে রানির সঙ্গে দেখা করবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রানি এরিজাবেথ তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। 

দেশটির নিয়ম অনুযায়ী নতুন প্রধানমন্ত্রী তার জন্য নির্ধারিত ১০ ডাইনিং স্ট্রিটের বাড়িতে প্রবেশ করার আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন করবেন। রদবদল করতে পারবেন শুক্রবার পর্যন্ত। 
 
এদিকে, বরিস যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তবে আগামী ৩১ অক্টবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার উপর বর্তাবে। যেকোন মূল্যে তিনি সেটি বাস্তবায়ন করবেন। নির্বাচনের আগে এটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী। 

ব্রেক্সিট ইস্যুতে থেরেসা মে’র সঙ্গের বিবাদে এক বছর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান জনসন। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেন থেরেসা মে। ওই বছরের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) বিষয়ে গণভোট হয়। এতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরন ইইউতে থাকার পক্ষে মত দেন। 

কিন্তু সাধারণ জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিলে ক্যামেরন পরাজয় মেনে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগে কনজার্ভেটিভ পার্টির অভিজ্ঞ রাজনীতিক থেরেসা মে দলের প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হন। 

ক্ষমতার গ্রহন করে মাত্র দু’বছরের মাথায় কয়েক দফা গণভোটের পরও ব্রেক্সিট ইস্যু পাস করাতে ব্যর্থ হন থেরেসা মে। ফলে, গত ৭ জুন পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। 

আই/