ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঁশফল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

আঁশফল লিচু পরিবারের একটি সদস্য। তাই অনেক এলাকায় এটি কাঠলিচু নামে পরিচিত। ফলের উপরিভাগ মসৃণ, ফলের রঙ বাদামি, আকার গোল এবং লিচুর চেয়ে অনেক ছোট হলেও ফলের শাঁস অবিকল লিচুর মতো এবং স্বাদে প্রায় লিচুর মতো। তবে লিচুর চেয়ে বেশি মিষ্টি।

আঁশফলের ইংরেজি নাম Longan আর বৈজ্ঞানিক নাম Euphoria longana। আঁশফল স্যাপিন্ডেসি (Sapindaceae) পরিবারভুক্ত একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এ পরিবারের আরও একটি ফল আছে, তার নাম রাম্বুতান। আঁশফল মূলত মালয় উপদ্বীপের আদি ফল। থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানে আঁশফলের চাষ হচ্ছে।

বিদেশেও আঁশফলকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- ভিয়েতনামে নাহান, কম্বোডিয়ায় মিয়েন ও মায়ানমারে কিয়েট মৌক ইত্যাদি।

আঁশফলের শাঁস সাদা, কচকচে। আঁশফলের বীজ গোলাকার চকচকে কালো এবং শাঁস বীজকে আবৃত করে রাখে এবং সহজেই বীজ থেকে আলাদা করা যায়। 

ফাল্গুন-চৈত্র (মার্চ) মাসে ফুল আসে এবং শ্রাবণ-ভাদ্র (আগস্ট) মাসে ফল পাকে। সম্পূর্ণ পাকার পর ফল গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আবার ফল বেশি পেকে গেলে গাছ থেকে ঝরে পড়ে ও ফেটে যায়, যা গাছের ফলনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। তাই সময়মতো ফল সংগ্রহ আঁশফলের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আঁশফলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, শর্করা ও ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে ৭২ ভাগ পানি, ১০৯ কিলোক্যালোরি শক্তি, ৮.০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৮০ আইইউ ভিটামিন এ, ২.০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬.০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১.০ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৫ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। 

আঁশফলের শুকানো শাঁস ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীর প্রদাহে, অনিদ্রা দূর করতে ও বিষের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা অ্যালার্জি, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।

এএইচ/