ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শামসুন্নাহার খুকি’র ইন্ধনেই রিফাতকে খুন: মিন্নির বাবা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:০১ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার

শাহ নেওয়াজ শরীফ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যাকাণ্ডে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার খুকি’র ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

বুধবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশের কার্যক্রমের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে মামলার তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’র (পিবিআই) কাছে হস্তান্তরের দাবিও করেন মিন্নির বাবা। 

মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যায় বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার খুকি’র ইন্ধন রয়েছে। আমি পুলিশের কার্যক্রমের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি’র কাছে অনুরোধ করছি এ মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআই’তে স্থানান্তর করা হোক।’

তিনি আরো বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সাথে বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার খুকির সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর খুকি তার বোনের ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে এ বিষয়ে নালিশ করে যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। যেদিন হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল, সেদিন হত্যাকারী রিফাত ও রিশান ফরাজী বলেছিল, ‘তুই আমার মাকে গালাগাল করেছিস। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল’। 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যার পরে তার বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় যখন হত্যা মামলা দায়ের করেন তথন তার পুত্রবধূ মিন্নিকে ১ নম্বর সাক্ষী রাখেন। কারণ তখন তার পুত্রবধূর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ছিল।  যখনই প্রভাবশালী মহলের দ্বারা  প্রভাবিত হয়েছেন, যখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিন্নির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু হয়েছে। যখনই নয়ন বন্ডের মা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিতে শুরু করেন, যখনই মূল ভিডিও আড়াল করে আর একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। তখনই মিন্নিকে সাক্ষী থেকে আসামি করা হলো।’

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর এ সময় আরো বলেন, ‘তার মেয়ে অসুস্থ। কিছুদিন আগেও তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে ঢাকা নিয়ে। পুলিশি নির্যাতনে তার মেয়ে এখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসার বিশেষ প্রয়োজন। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করতে আমার মেয়েকে ফাঁসাচ্ছে।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির মা মিলি আক্তার, ভাই আব্দুল মুহিত কাফি এবং বোন সামিরা মেঘলাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএস/এসি