ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডেঙ্গুজ্বরে কিডনি, লিভার, ফুসফুসের কার্যকারিতা হারাচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

রাজধানীসহ সারাদেশের বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। একই সঙ্গে এই রোগের উপসর্গ বা ধরণ পরিববর্তন হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে এই বিষয়ে কোনো কিছু জানা  যাচ্ছে না। তবে এর আগে তাদের কারও শরীরের কোনো র‌্যাশ ছিল না। এমন কি ব্যাথাও ততটা প্রকট ছিল না।

যে কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তাদের স্বজনরা ডেঙ্গুর বিষয় সচেতন ছিল বেশি। ডেঙ্গু রোগের যে লক্ষণ এবার তার প্রকাশ পাচ্ছে না।

একারণে এবিষয় বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন  এবার ডেঙ্গু ধরন পাল্টেছে।

আগে ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম লক্ষণ ছিল শরীরে র‌্যাশ থাকা। কিন্তু চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে র্যাশ দেখা যাচ্ছে না। জ্বর হওয়ার পরও চিকিৎসকরা বুঝতে পারছেন না। হেমোরেজিক ডেঙ্গু এবার বেশি হচ্ছে। রক্তের প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি থাকায় বেশি মৃত্যু হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও হার্ট আক্রান্ত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অকার্যকরও হয়ে পড়ছে। ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশা শরীরে কামড় দেওয়ার পর রক্তের মনোসাইটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে জীবাণু বংশবিস্তার করে। 

প্রবহমান রক্তের মাধ্যমে জীবাণু হার্ট, লাং, লিভার ও কিডনিতে প্রবেশ করে অধিক হারে বংশবিস্তার করে এসব গুরুত্বপূর্ণ কোষের কার্যকারিতা নষ্ট করে। বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোষঝিল্লিতে আক্রমণ করে প্রদাহের সৃষ্টি করে। কিডনির মূত্র উৎপাদনের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং লিভার অকার্যকর হয়। 

ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ডেঙ্গু হার্টের মাংসপেশির বলয় ভেঙে সেখানে আক্রমণ করে কার্যকারিতা হ্রাস করে। এছাড়া সেরোটাইপ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিস্কে তীব্র প্রদাহের সৃষ্টি করে। এসব রোগী যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে তাদের মৃত্যু হতে পারে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ছে। আগামী দুই মাস তা আরও বাড়তে পারে। তাই শরীরে কোনো ধরনের জ্বর অনুভব করলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করতে হবে। 

টিআর/