ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সাব-সেক্টর কমান্ডার জিয়াউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩৩ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার

মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই ৬৭ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর জিয়াউদ্দিন ১৯৫০ সালে পিরোজপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার আপন চাচাতো ভাই। তিনি ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।

১৯৭১ সালে প্রথমে তিনি পিরোজপুর শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। নবম সেক্টরের অধীনে সুন্দরবনে ঘাঁটি স্থাপন করে ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে ক্যাপ্টেন ও পরে মেজর পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর কর্নেল তাহেরের নির্দেশে জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন জিয়াউদ্দিন। জানুয়ারি মাসে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কর্নেল তাহেরসহ জাসদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার বিচার হয়। বিচারে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি এবং মেজর জিয়াকে যাবজ্জীবনসহ অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় সামরিক সরকার।

১৯৮০ সালে তিনি সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান এবং জাসদে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার বইগুলোর মধ্যে ‘মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবনের সেই উন্মাতাল দিনগুলো’ ও ‘সুন্দরবন সমরে ও সুসময়’ উল্লেখযোগ্য।

জিয়াউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ এলাকা পিরোজপুরসহ ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিবারের পক্ষে পিরোজপুরে সকাল ১০টায় তার কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া করা হবে। এ ছাড়া পিরোজপুরে জিয়াউদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত আফতাবউদ্দিন মহাবিদ্যালয়ে সকাল ১১টায় আলোচনা সভা এবং বাদ জোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এসএ/