ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কাকে ২৩৯ লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৭:৫৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার

মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৯ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কান বোলারদের তোপে পড়ে ১১৭ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে দল যখন খাঁদের কিনারে তখনই ব্যাট হাতে হাল ধরেন মি. ডিপেন্ডেবল। তবে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।  

দলীয় ৩১ রান তুলতেই ফিরেছেন দুই ওপেনার। দুটি উইকেটই পেয়েছেন দুই লঙ্কান পেসার। এরপর অবশ্য একে একে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান। আউটের মিছিলে সবশেষ সংযোজন মোসাদ্দেক হোসেন। ফলে ১১৭ রানেই ছয় উইকেট হারানোয় দুইশ পেরুনো নিয়েই দেখা দেয় শঙ্কা! 

তবে মিরাজকে নিয়ে সেই শঙ্কা দূর করেন মুশফিক। নিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি করার পাশাপাশি ৭ম উইকেটে গড়েছেন ৮৪ রানের বিপর্জয় এড়ানো জুটি। যাতে সম্মানজনক স্কোর গড়ার পাশাপাশি স্বাগতিকদের ২৪০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। 

তবে মুস্তাফিজের ভুলে ২ রানের জন্য নিজের অষ্টম শতক বঞ্চিত হন মুশফিক। অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। তাঁর ১১০ বলে এই সংগ্রামী ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও একটি ছয়ের মার। এতেই বুঝা যায় দলকে বিপর্জয়মুক্ত করতে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। 

রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসায় টস জিতে ব্যাট করতে নামা দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দেখে শুরুটা ডান হাতি অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে দিয়ে করিয়েছিলেন লঙ্কান ক্যাপ্টেন দিমুথ করুণারত্নে। কিন্তু এ স্পিনারকে তাঁর প্রথম স্পেলে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। তবে খুশি করেছে পেসারদের। 

আউট হওয়ার ধরনও বেশ দৃষ্টিকটু। দেখেশুনে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। একটু বেশিই সাবধানি ছিলেন হয়তো। চতুর্থ ওভারে নুয়ান প্রদীপকে দুর্দান্ত এক শটে চারও মেরেছিলেন সৌম্য। কিন্তু তাঁর পরের ওভারেই আউট হন ফুল টস ডেলিভারিতে, এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে। ১৩ বলে ১১ রান করা সৌম্য বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছেন রানখরায়। 

এ নিয়ে টানা ১০ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই সৌম্যর। তবে তামিমের (৩১ বলে ১৯) আউটটি ছিলো সৌম্যর চেয়েও দৃষ্টিকটু। ইসুরু উদানার করা অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিটি স্কয়ার কাট করতে চেয়েছিলেন এ ওপেনার। খেলতে গিয়ে বল টেনে এনেছেন উইকেটে। 

বিশ্বকাপেও ঠিক এভাবেই দুবার আউট হয়েছেন তামিম। ব্যাটের কানায় বল লেগে স্টাম্প ভেঙেছে। তখন তামিমের চাহনি দেখেও মনে হয়েছে তাঁর মন ভেঙে গেছে। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড আউট হলেন তামিম। এতবার নিজের স্টাম্প বাঁচাতে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।

আর তিনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাঁকে তুলে নিয়েছেন আকিলা ধনঞ্জয়া। মাহমুদউল্লাহকেও (৬) বোল্ড করেছেন এ স্পিনার। ইসুরু উদানার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২৫তম ওভারে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সাব্বির (১১)। 

তিন ম্যাচের এ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং তো ছিলো হতাশারই, এখন বোলিংটা কেমন হয় সেটাই দেখার বিষয়। 

এনএস/আরকে