ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আপন জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা পায়নি পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার

গর্ভের সন্তান নষ্ট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর দায়ের করা মামলার সত্যতা খুঁজে পায়নি পুলিশ।  আজ রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান ঢাকার সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি ঢাকার মহানগর হাকিম তোফায়েল হোসেনের আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করেন।

এদিন মামলার বাদী দিলদার আহমেদের পুত্রবধূ ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। সে জন্য তার আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৭ আগস্ট প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ১১ মার্চ ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে সাফাতের সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার আহমেদ তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে বাদী বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো তাকে উৎসাহিত করতেন এবং সহযোগিতা করতেন। স্বামী সাফাত আহমেদ কয়েক মাস জেলহাজতে থাকার পর গত ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্ত হন। এ বিষয়ে (গর্ভধারণ) সাফাত আহমেদকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জামিন বাতিল করিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে গর্ভপাতের জন্য বাদীর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়।

গত ৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে বাদী ওষুধ ও স্বামীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য কাছের মার্কেটে যান। বাসায় ফেরার পর দিলদার আহমেদ ও মোখলেছুর রহমান মাথায় পিস্তল ঠেকান, থাপ্পর মারেন ও গর্ভপাত ঘটনোর উদ্দেশ্যে তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন। পরে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

আমি বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে শ্বশুর আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন, এক্ষুনি বাসা থেকে বের হয়ে যা, তা না হলে গুলি করে মেরে ফেলব। আমি দুই মাসের গর্ভবতী ছিলাম। গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার উদ্দেশে তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন শ্বশুর।

পরদিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে এলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে কখনো প্রবেশ করলে তোকে জানে শেষ করে দেব। এরপর চড়-থাপ্পড় মেরে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেন।

 টিআর/