ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৩ ১৪৩২

রাজধানী ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার

রাজধানী ঢাকা এবং টেকনাফে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)-২ সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। সোমবার এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় র‌্যাব-২ এর সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ সুমন নামের এক ‘অস্ত্র ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। তবে কথিত গোলাগুলির ঘটনা কখন ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন মাদককারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় বেশকিছু মাদক, একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ বাহারছড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলো- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে আব্দুর রহমান (৪২) ও রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের গোয়ালিয়াপালং এলাকার কবির আহমদের ছেলে উমর ফারুক (৩১)।

র‌্যাব-২ ঢাকার কোম্পানি কমান্ডার লে. মহিউদ্দিন ফারুকী সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজধানী ধানমণ্ডি এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মাদকসহ বেশ কয়েকজন মাদককারবারিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন মাদককারবারি পলাতক ছিল।

পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মতে, সোমবার (২৯জুলাই) রাতে কক্সবাজারে অভিযান শুরু করেন র‌্যাব-২ সদস্যরা। একপর্যায়ে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া নামক এলাকার দুইটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসায়। পরে টেকনাফ থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর সংকেত দিলে তা অমান্য করে পালিয়ে যায়। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করলে একপর্যায়ে সড়কের ২০ কিলোমিটার মাইল স্টোনে ধাক্কা লেগে গাড়িটি থেকে যায়।

এ সময় কোন উপায়ন্তর না দেখে পাচারকারিরা র‌্যাব সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি করে। র‌্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এ সময় মাদকপাচারকারিরা পিছু হটে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে মাছের ককসীটের একটি কার্টুন থেকে ৩শ’ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ হাজার পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায়  ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১৫ টেকনাফ কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি পরিচালক লে. মীর্জা শাহেদ মাহতাব জানিয়েছেন, ‘ঢাকা র‌্যাব-২ এর অভিযানের সময় দুইজনকে আহত অবস্থায় প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাদের পকেটে থাকা এনআইডি কার্ড দেখে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।