ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই রাজবাড়ীর হাসপাতালগুলোতে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার

রাজবাড়ীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে নেই কোনো ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা।জেলার জনসাধারণের  বেসরকারি ক্লিনিকই এখন একামাত্র ভরসা। যদিও খুব শীঘ্রই ডেঙ্গু পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। 

তাদের দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৯ জন। যদিও আক্রান্তদের বেশিরভাগকে রাজধানী ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। 

জানা গেছে, হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে রাজবাড়ীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। অথচ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল, জেলার গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোনো ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা। জেলা শহরের মাত্র একটি ক্লিনিকে রয়েছে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা। 

সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা লতা সরকার (২৬) বলেন, তার বাড়ী রাজবাড়ী জেলা শহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায়। তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছে।  

শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় তিনি রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন। এখানে এসে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ডেঙ্গু হয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।
 
জেলা শহরের ডক্টরর্স কেয়ার ক্লিনিকের ম্যানেজার আলিমুজ্জামান জানান, গত শনিবার ৮জন, গত রবিবার ৫ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার ৫ জনের পরীক্ষা করা হলেও তাদের শরীরে ডেঙ্গু পাওয়া যায়নি।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান সরকার জানান, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ইতোমধ্যেই ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার জন্য ব্যানার টানানো এবং স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্য কর্মীদের সচেতনতামূলক সভা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে কেন ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দুই/তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে।

আই/কেআই