ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুক্তি পাচ্ছে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড নুর আলম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

২০ বছর পর কুখ্যাত খুনি, সিরিয়াল কিলার এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড নুর আলম মুক্তি পাচ্ছেন। তিনি ১২ মামলার রাজসাক্ষী ছিলেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান অন্য কোনো মামলা না থাকলে নুর আলমকে কারাগার থেকে মুক্তির আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন নুর আলম। সেই থেকে গত ২০ বছর যাবত তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

নুর আলম চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ থানার আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এরশাদ শিকদারের ১২টি হত্যা মামলায় হত্যার সহযোগী আসামি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মামলাগুলোয় রাজসাক্ষী হন এবং আদালতে এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করেই খুলনার জলিল টাওয়ার মালিকের ম্যানেজার খালিদ হত্যা মামলায় ২০০৪ সালের ১০মে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

এক মামলায় এরশাদ শিকদারের ফাঁসি হলেও অন্যান্য মামলাগুলো রয়ে যায়। সেসব মামলার মধ্যে ১১ মামলায় কারাগার থেকে সাক্ষ্য দেন নুর আলম।

কিন্তু রাজধানীর লালবাগ থানার আজিজ অপহরণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য বাকি থাকায় তার মুক্তি পিছিয়ে যায়। গত ২১ জুলাই নুর আলমকে খুলনা কারাগার থেকে হাজির করে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

নুর আলমের কোনো আইনজীবী ছিল না। পুরাতন মামলা হওয়ায় এবং নুর আলমের কোনো মামলায় সাক্ষ্য বাকি না থাকায় ঢাকা লিগ্যাল এইড অফিস সোমবার তার মুক্তির আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই প্রেক্ষিতে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মুনতাছির মাহমুদ রহমান নুর আলমের কারামুক্তির আবেদন করেন।

আবেদন মঞ্জুর করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে কারামুক্তির আদেশ দেন।

ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. আলমগীর হোসাইন জানান, নুর আলমের বিরুদ্ধে খুলনার একটি মামলায় প্রডাকশন ওয়ারেন্ট দেয়া আছে বলে জানতে পেরেছি। ওই প্রডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার হলে তিনি শীঘ্রই কারামুক্ত হবেন।

উল্লেখ্য, নুর আলম কারাগারে থাকাবস্থায় তার ছেলে রাফী (১৮) মারা গেছে এবং অর্থাভাবে স্ত্রী অন্যের স্ত্রী হয়ে গেছেন। বাড়িঘর জমিজমা এখন আর কিছুই নেই।

প্রথম জীবনে জাহাজে চাকরি করতেন নুর আলম। সেই চাকরি ছেড়ে এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি গ্রেফতার হন।

এসএ/