ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাঁটু কনুই গোড়ালির কালচে দাগ দূর করার উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

এমন অনেকেই আছেন যাদের গায়ের রঙ ফর্সা বা ত্বক উজ্জ্বল কিন্তু বিভিন্ন জয়েন্টে কালো কালো দাগ। যেমন কনুই, হাঁটু, গোড়ালি কব্জি, আঙ্গুলের জয়েন্টে এই সমস্যা দেখা যায়। একে আসলে বিজ্ঞানের পরিভাষায় হাইপারপিগমেন্টেশন বলে।

ক্রমাগত চাপ এবং ঘষা খাওয়ার ফলে এসব জয়েন্ট বা গিঁটের রং পাল্টে যায়। দরজা বন্ধ করা, জুতো পরা, হাতে ভর দিয়ে বিছানায় বসা প্রভৃতির জন্য হাত ও পায়ের গিঁটে চাপ পড়ে।

ডার্মাটোলজিস্টরা এই সমস্যা মোকাবেলায় জন্য বেশ কয়েকটি উপায় বের করেছেন। এবার সেগুলো জেনে নেয়া যাক:

১. কালো ভাব দূর করার জন্য যে কোনো রকমের প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং উপাদান ব্যবহার করে দেখুন। এতে মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বকে চকচকে ভাব আসবে।

২. আপনি যদি ত্বকের রং হালকা করার জন্য কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তা হলে তার উপরে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। আপনার শরীরের যেসব অংশ সূর্যের আলোর সামনে উন্মুক্তভাবে থাকে সেসব জায়গাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৩. নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া গিঁটগুলোতে প্রাকৃতিক তেল দিয়ে মেসেজ করলে উপকার পাবেন। নারিকেল তেল, তিলের তেল, আমন্ডের তেল, অলিভের তেল নিয়মিত ব্যবহার করা যায়।

৪. সব সময় গিঁটগুলো পরিষ্কার করার পরে সেখানে হালকা করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৫. শরীরের জয়েন্টগুলো হালকা চাপে প্রত্যেকদিন পরিষ্কার করুন, খুব জোরে জোরে ঘষবেন না। তাতে উল্টা ত্বক শুষ্ক এবং কঠিন হয়ে যেতে পারে। এতে উপকারের বদলে অপকার হবে।

৬. নিয়মিত মেনিকিওর এবং পেডিকিওরের অভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুলের গিঁটগুলোকেও গুরুত্ব দিন।

তবে ত্বকের এই সমস্যা যদি জেনেটিকাল হয় এবং উপরোক্ত নিয়ম মেনে চলার পরেও কোন উপকার না পান তা হলে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে একজিমা, সোরাইসিস বা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস থেকেও ত্বকের নানা সমস্যা তৈরি হয় এবং তা ত্বকের রং বদলে দিতে পারে।

এএইচ/