ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এই ওষুধে মশা মরছে না: সচিব হেলালুদ্দীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

এডিস মশা নিধনে বিদেশ থেকে কার্যকরী ওষুধ আনতে গড়িমসি’র বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, ‘এই ওষুধে মশা মারা যাচ্ছে না। দেশে ক্রাইসিস চলছে। এ বিষয়ে আমরা বসে নেই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি এ কথা জানান।

সচিব বলেন, এডিস মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ ‘ম্যালাথিয়ন’ বিদেশ থেকে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে হাইকোর্টকে তিনি জানান।

বিদেশ থেকে ওষুধ আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে নতুন ওষুধ ম্যালাথিয়ন আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ তবে কীভাবে সেই ওষুধ আনা হবে তা জানাতে সচিবকে বিকেল ৪টার মধ্যে সময় বেধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে এডিস মশা নিধনের বিষয়ে কার্যকর ওষুধ আনার ব্যাপারে বক্তব্য জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হাইকোর্টে হাজির হন এলজিআরডি সচিব। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জানিয়েছিলেন, এডিস মশা নিধনের বিষয়ে কার্যকর ওষুধ আনার ব্যাপারে বক্তব্য জানতে দুপুর ২টায় এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে ডেকেছেন  হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবীরা হাইকোর্টকে জানান, ওষুধ আনার দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশনের একার নয়, সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু ওষুধ আনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের বলেই জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। 

আর এর পরই ডেঙ্গু মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ আনার ব্যাপারে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে তলব করেন হাইকোর্ট।   

এর আগে গত ২৫ জুলাই ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ওষুধ ব্যবহার করে মশা নিধন হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।

কিন্তু মশা নিধনে কার্যকরী ফল না পাওয়ায় গত ৩০ জুলাই এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ কবে দেশে আসবে, তা সরকার এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

 টিআর/