ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘কমিশন ১৫ শতাংশের বেশি হলে ব্যবস্থা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫৮ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সাধারণ বীমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য বীমা এজেন্টদেরকে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছন বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যন আফতাবুল ইসলাম, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী প্রমুখ।

এজেন্টকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন দেয়ার বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সকল বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বীমা মালিকদের সমিতি বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির হোসেন বলেন, বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য বীমা এজেন্টকে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়ার সুযোগ নেই। কোনো সাধারণ বীমা কোম্পানি চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ১৫ শতাংশের বেশি এজেন্ট কমিশন দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতিরিক্ত কমিশন দেয়া নেয়া দুইটাই অন্যায়।

দেশ নানা খাতে এগিয়ে গেলেও বীমা খাতের উন্নয়ন না হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রায় একযুগ ধরে বিআইএ’র প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা শেখ কবির হোসেন বলেন, আগে বাজেটে বীমা খাত নিয়ে কিছু থাকতো না। এবারের বাজেটে শস্য বীমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সবকিছু বীমার আওতায় আনার জন্য সরকারের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি আপনাদেরও (সাংবাদিক) দায়িত্ব আছে। গাড়ির জন্য থার্ড পার্টি বীমা হয়, এটা কোনো বীমা না। এটা বন্ধের জন্য আপনাদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বিআইএ’র কার্যনির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন পাভেল। তিনি বলেন, বেআইনিভাবে এজেন্টকে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়ার কারণে বীমা কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে সংকটের সম্মুখীন। তাই আইডিআরএ এবং বিআইএ’র যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে আইন কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি কোনো বীমা কোম্পানি, ব্যাংক এবং বীমা গ্রহীতা এই ধরনের বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই আইডিআরএ, বিআইএ এবং সকল সাধারণ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যন সাধারণ বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য ১৫ শতাংশের বেশি এজেন্ট কমিশন দেয়াকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

এরপর গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নরের সভাপতিত্বেব অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইডিআরএ এবং বিআইএ’র প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৫ শতাংশের অধিক কমিশন বন্ধ এবং আইডিআরএ সার্কুলার অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সহযোগিতার প্রদানে সম্মত হন।

আরকে/