ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

আগামী মাসেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে: সাঈদ খোকন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার


আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। একইসঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সব সংস্থার সম্মিলিত কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি  একথা জানান। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বর এবার ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় তা যেমন অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়েছে, তেমনি ইতোমধ্যে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। 

বর্ষার শুরুতে গত জুন মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে থাকে; এক মাসের মধ্যে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে। এডিস মশা নিধনের কাজ না হওয়ার জন্য ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেই দায়ী করা হচ্ছে; তাদের কাজ নিয়ে আদালতও উষ্মা প্রকাশ করেছে। ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনক বিস্তারের বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদ খোকন বলেন, “তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে কাজ করছে।

“পাশাপাশি নাগরিকদের মধ্যেও সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি।”

বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে সেপ্টেম্বর মাসে।  এবার আগে ভাগেই রোগটির বিস্তার ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে রোগটির জীবাণুর বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের ওপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডেঙ্গু সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। পরে আস্তে আস্তে কমে আসবে।

নির্মাণাধীণ ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিকে এডিস মশার প্রজননের প্রধান উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানান মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এজন্য নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালানো হচ্ছে।

“প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে আমাদের কর্মীরা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪১৪টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৪৭টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।”

এডিস মশার প্রজননের ক্ষেত্র পাওয়ায় ৬৬টি নির্মাণাধীন ভবনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। একজনকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবন মালিকরা এ থেকে সচেতন হবেন বলে তার আশা।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. জাহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ভিকারুননিসা নূনসহ কয়েকটি স্কুলে মশার স্প্রে বিতরণ করেন মেয়র খোকন।