ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

 বেরোবিতে সাপের কামড়ে আহত ১, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাপের কামড়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১ম ব্যাচের মানিক নামের (সাবেক শিক্ষার্থী) আহত হয়েছে। এরপর গুরতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী  সূত্রে জানা যায়, রোববার সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষ করে বের হওয়ার সময় মানিক মিয়ার স্যান্ডেলের উপরে একজোড়া সাপ অবস্থান করছিল। সে সময় স্যান্ডেলে পা দেওয়া মাত্রই তাঁর ডান পায়ের আঙ্গুলে কামড় দেয়। এ সময় মানিক মিয়ার চিৎকার করলে মসজিদ থেকে কয়কজন বের হয়ে আসলে তৎক্ষণাৎ সাপ দুটো মসজিদের পাশে অবস্থিত জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে এম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়।বর্তমানে মানিক মিয়াকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এ দিকে সাপাতঙ্কে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সর্বত্রই সাপের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। এর আগেও ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ক্লাশ রুম থেকে সাপুড়ে বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে। এমন কি বারবার সাপের উপস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ করে রাখা হয় বিভাগটির অফিস রুম। 

গত শুক্রবার (২ আগষ্ট) ঐ বিভাগের অফিসরুমটি কিছুক্ষণের জন্যে খোলা হলে আবারও ৪টি সাপ দেখা যায়, এরপর আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বারবার বিষধর সাপ দেখা যাওয়ার পরেও তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা সবসময়ই আতঙ্কে থাকি। অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.শফিকুর রহমান ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, আমাদের অরক্ষিত ক্যাম্পাস, সাপ-শিয়াল-কুকুর ও হিংস্র দু’পেয়ের অভয়ারণ্য হয়ে যাচ্ছে! যে কোন সময় আমরা এর শিকার হতে পারি। আজ চার আগস্ট শিক্ষক ডরমিটরির ভেতর নিহত কোবরা সাপ। এটাকে মারতে গিয়ে একজন শিক্ষক খানিকটা আঘাত পেয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমান বলেন, মানিক মিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতা করা যায় আমরা করবো। হাসপাতালে তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাসুদ-উল-হাসান বলেন, এর আগেও ক্যাম্পাসে সাপের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ঝোপঝার পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু কর্মচারীদের আন্দোলনে তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আউট প্রসেসিং এর মাধ্যামে এ সাপ সমস্যা সমাধান করতে হবে।

কেআই/