ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

উত্তপ্ত কাশ্মির, জরুরি বৈঠক আহ্বান মোদির

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১১ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

সাতজন অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির ইস্যুতে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেখানে বড় ধরনের কিছু একটা হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামীকাল সোমবার নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

খবরে বলা হচ্ছে, কাশ্মিরে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে ৩৮ হাজার অতিরিক্ত সেনা সদস্য। অমরনাথ যাত্রা উৎসব স্থগিত রেখে কাশ্মিরে থাকা পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আগেই দ্রুত ফিরে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, শনিবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার সেনা অভিযানে অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিহতরা পাকিস্তানি নাগরিক। তারা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে অনুপ্রবেশ করেছিল। ওই সাতজনের লাশ ফেরত নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ভারত। 

তবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ভারতের দিকেই আঙুল তোলার চেষ্টা করেন ইমরান খান। ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মারাত্মক ও ভারী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। 

রোববার বিকেলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরপর তিনটি টুইট করে ভারতের দিকেই পাল্টা তির ছোড়ার চেষ্টা করেন। তার বক্তব্য, সীমান্তের ওপারে সাধারণ নাগরিকদের উপর যে অত্যাচার চলছে এবং যে ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। 

তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এতে ১৯৮৩ কনভেনশনও লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক শান্তির পরিপন্থী, তাই বিষয়টিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নজর দেওয়া উচিত।

অন্য টুইটে ইমরান বলেন, কাশ্মীরের মানুষের ভোগান্তির দীর্ঘ কালরাত্রির অবসানের সময় এসেছে। নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি মতো তাদের স্বতন্ত্রতার অধিকার দেওয়া উচিত। কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানই খুলে দিতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার একমাত্র পথ।

এদিকে হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আহমেদ শাহ গিলানি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, কাশ্মিরে শতাব্দীর সব থেকে বড় গণহত্যা হতে চলেছে! এমতাবস্থায় কাশ্মিরিদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামীকাল সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির এ ধরনের জরুরি বৈঠক সর্বশেষ হয়েছিল পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আত্মঘাতী হামলার পর।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, বিগত ৭২ ঘণ্টা ধরে কাশ্মির উপত্যকা ও জম্মুতে চিরুনি অভিযান চলছে। অনুপ্রবেশকারী ও স্থানীয় সন্দেহভাজন হামলাকারীদের নির্মূল করতেই এই অভিযান চালোনো হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ কাশ্মিরিদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সূত্র- আনন্দবাজার, জিনিউজ।

এনএস/