ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ মর্যাদা বাতিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

থমথমে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। আর এর মাধ্যমেই কাশ্মীর ইস্যুতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে বিশেষ মর্যাদা হারাল কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ।

সোমবার জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ এর বিরোধিতায় রাজ্যসভায় চলছে তুমুল হাই হট্টগোল।

জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এ ৩৭০ ধারাকে। এটি তুলে দেওয়ায় বিশেষ সুবিধা হারালেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।

কাশ্মীরে ঠিক কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে যখন কাশ্মীরবাসীসহ উদ্বিগ্ন গোটা ভারত, তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কাশ্মীর নিয়ে জরুরি বৈঠক করে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি৷

এর আগে রোববার রাতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানাচ্ছে।

বিপুল আধাসেনা নামানোর পর রাজধানী শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

মধ্যরাতে হঠাত করেই গৃহবন্দি করা হল দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। শুধু তাই নয়, গৃহবন্দি করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতাকে।

বাতিল করা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। বন্ধ কেবল টিভি পরিষেবাও। একই সঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এ এন আই জানাচ্ছে, ‘শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যে বিপদ তৈরি হয়েছে’, সে কারণে জম্মু জেলাতেও সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

জম্মু এবং উধমপুর এই দুই জেলার ডেপুটি কমিশনার সুষমা চৌহান এবং পীযূষ সিংলা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, বাড়তি সতর্কতার স্বার্থে সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।