ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০১ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারতের পার্লামেন্ট। এর প্রতিবাদে সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

কাশ্মীরি জনতার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘কাশ্মীর চাই আজাদি’, ‘কাশ্মীরের বীর জনতা, লও লও লও সালাম’, ‘কাশ্মীরের বীর জনতা, আমরা আছি তোমার সঙ্গে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরকে স্বাধীনতা দেয়ার পরিবর্তে ভারত এখন কাশ্মীরের বিদ্যমান স্বায়ত্তশাসন টুকুও কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কাশ্মীরকে স্বাধীনতার দাবিতে আসুন আমরা এক হয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলি।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল হাসানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, সোমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করেছে দেশটির সরকার, যেটা কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়। এই ধারাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যে কোনও ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করত। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। এই অনুচ্ছেদের সুবাদে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধু সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারতেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পেতেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। কিন্তু দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় এসব সুবিধা হারালেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।