ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চীন ভারতের অংশ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

কাকপক্ষীতেও টের পায়নি৷ এতটাই গোপন ছিল কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি৷ গতকাল সোমবার কংগ্রেসসহ বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভার অধিবেশনে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিলটি পাস করাতে সমর্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীর সংক্রান্ত ধারাটি বাতিলের ফলে বিশেষ সুবিধা হারালেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।

আর রাজ্যসভার পরে এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভাও। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তাব এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ হতেই তীব্র বিরোধিতা শুরু করল কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূলসহ বিভিন্ন বিরোধী দল।

মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে শুরুতেই কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে তুমুল বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পরে আর এক কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির সঙ্গেও শাহ বিতণ্ডায় জড়ালেন।

কাশ্মীরে ৩৭০ বহাল থাকার পক্ষে, না বিপক্ষে? অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস- চ্যালেঞ্জ ছোড়ার ভঙ্গিতে মণীশকে বললেন শাহ। নিয়ন্ত্রণরেখার ও পারে থাকা এলাকার বিষয়ে কংগ্রেসের প্রশ্নের জবাবে আরও আগ্রাসী ভঙ্গিতে অমিত শাহের জবাব- পাক অধিকৃত কাশ্মীরও আমাদের, আকসাই চীনও আমাদের।

এদিন লোকসভায় পেশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। শুরু হয় বিতর্ক। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, নিয়ম ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ভাগ করা হচ্ছে। সিমলা চুক্তি ও লাহৌর চুক্তি সত্ত্বেও কীভাবে এটা অভ্যন্তরীণ বিষয় হল? ওই দুই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক ছিল। জম্মু-কাশ্মীরকে কয়েদখানা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন, কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছে? এর পর তিনি আরও যুক্তি দেন তিনি। বলেন, সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীরকে দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানেও একই কথার উল্লেখ রয়েছে। তাই জম্মু-কাশ্মীরে আইন প্রণয়নে কোনও বাধা নেই। জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরও রয়েছে। আকসাই চীনও ভারতের অংশ। রাষ্ট্রপতির ৩৭০ ধারা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে। কংগ্রেসের সময়েও দু’বার রাষ্ট্রপতি নিজের অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। সেই ক্ষমতা বলেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধান অনুসারেই জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার আশা, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল লোকসভায় পাশ হবে।

এরপরই, বলতে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যকে ভাঙতে গেলে বা সীমানা বিন্য়াস করতে গেলে সেখানকার বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মানুষের রায়ও নিতে হবে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা এখন নেই, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। অথচ, সংসদকে জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ স্থির করতে বলা হচ্ছে। এতে আমি খুব অবাক। তেলঙ্গানা রাজ্য় তৈরির আগে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার কোনও অসাংবিধানিক কাজ করেনি।

(আনন্দবাজার অবলম্বনে)