ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

১৬ বছর আগের যে রহস্য ফাঁস করলেন শোয়েব!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তুমুল উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা এমন পর্যায়ের যে, বহু বছর আগের ম্যাচ নিয়েও চলে নখ কামড়ানো আলোচনা! হ্যাঁ, ১৬ বছর আগে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের ব্যথা এখনও ভুলতে পারেননি শোয়েব আখতার। 

তখনকার পাক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিসের দুর্বল নেতৃত্বের জন্য সেবার হার মানতে হয়েছিল বলে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান 'পিণ্ডি এক্সপ্রেস'। ম্যাচের আগের দিন বাঁ পায়ের হাঁটুতে চার-পাঁচটা ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার খবরের ভিতরের এই খবরও ফাঁস করলেন সাবেব এই ফাস্ট বোলার।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে ২৭৩ রান করেও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অথচ পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ সেবার দুর্দান্তই ছিল। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেন, '২০০৩ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক ম্যাচ। আমরা ২৭৩ রান করেও ওইদিন ভারতকে থামাতে পারিনি।'

ম্যাচের আগেরদিন রাতে বাঁ হাঁটুতে ব্যাথা কমানোর জন্য চার-পাঁচটি ইঞ্জেকশন নিয়ে ছিলেন শোয়েব।  তিনি বলেন, 'ইঞ্জেকশনের জন্য বাঁ পায়ের হাঁটুতে বেশ পানি জমেছিল। আমার হাঁটুতে কোনও অনুভূতিই ছিল না। আমাদের ইনিংসের শেষে দলের সতীর্থদের বলেছিলাম, আমরা ৩০-৪০ রান কম করেছি। আমার কথা শুনে দলের বাকিরা চেঁচিয়ে উঠেছিল। সবাই বলেছিল, ২৭৩ রানও যদি জেতার জন্য যথেষ্ট না হয়, তাহলে কত রান দরকার। অনেকেই বলেছিল, আমরা ভারতকে আউট করে দিতে পারব। কিন্তু আমি জানতাম পিচ ব্যাটিং সহায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবে।'

সে মতেই ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ভারতের দুই ওপেনার শচীন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র শেবাগ। শোয়েবকে আপারকাটে 'মাস্টার ব্লাস্টার'-এর হাঁকানো ছক্কা স্মরণীয় হয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে। 

এ বিষয়ে শোয়েব বলেছেন,'আমরা যখন বল করতে নেমেছিলাম, তখন আমার বাঁ পায়ে কোনও অনুভূতিই ছিল না। ঠিকমতো দৌড়তে পারছিলাম না। শচীন আর শেবাগ শুরু থেকেই মারছিল। শচীন আমাকে খুব সহজেই খেলছিল। এমনকি পয়েন্টের উপর দিয়ে আমাকে ছক্কাও মারে সে।'

শোয়েব মার খাচ্ছেন দেখে অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিস তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন। পরে আবার শোয়েবকে আক্রমণে আনেন ওয়াকার। তখন অবশ্য অনেক দেরি হয়ে যায়। ওয়াকার যখন পরে শোয়েবকে আক্রমণে আনেন, তখন শর্ট বল করছিলেন তিনি। ওরকমই একটা দুর্দান্ত গতির শর্ট বলে শচীন ব্যাট সরাতে না পেরে আউট হন। 

সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে শোয়েব বলেন,'আমি ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম শুরু থেকেই আমি এভাবে বল করতে পারতাম। যদিও আমার ফিটনেস ঠিক ছিল না। অত্যন্ত দুর্বল নেতৃত্বের জন্যই ম্যাচটা হারতে হয়েছিল।'শোয়েবকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়ায় ওরকম দুর্দান্ত গতিতে ধেয়ে আসা শর্ট বল আর কেউ করতে পারেননি। ফলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা খুব সহজেই রান তোলেন। সেই হার এখনও শোয়েব মেনে নিতে পারেননি। 

তিনি বলেন, 'এটা আমার কাছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে আমরা ভারতকে হারিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু সেটা আর হয়নি।' সূত্র-আনন্দবাজার।

এনএস/