ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে চীনের হুশিয়ারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দিয়ে সেখানে ছিল ৩৭০ ধারা, সোমবার তা প্রত্যাহার করে ভারত। এর মধ্য দিয়ে ২টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলো জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেক দেশ। এবার কাশ্মীর ও লাদাখের ব্যাপারে ভারতকে হুশিয়ারি দিয়েছে চীন।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে একতরফা ব্যবস্থা অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। সেইসঙ্গে লাদাখকে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ভারতের পদক্ষেপেরও সমালোচনা করে চীন।

ভারত সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুইং একটি বিবৃতিতে বলেন, চীন-ভারত সীমান্তে পশ্চিমাংশে তাদের প্রশাসনিক এলাকায় চীনা অঞ্চলে ভারতের অন্তর্ভুক্তি সবসময়েই বিরোধিতা করে চীন।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থান দৃঢ় এবং সঙ্গত এবং কখনই পরিবর্তন হয়নি। ভারতের তরফে তাদের অভ্যন্তরীণ আইন পরিবর্তন চীনা অঞ্চলের সার্বভৌমত্ত্ব পতন সাধনের চেষ্টা করে, যা গ্রহণযোগ্য নয় এবং কোনও ফল নেই।

এছাড়া, ভারত ও পাকিস্তানের শান্তি বজায় রাখতে এবং কাশ্মীর নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে চীন বলে, দুই দেশের উচিত, বলপ্রয়োগ এড়িয়ে চলা, যা ‘শুধু’ সেখানকার পরিস্থিতি বদলে দেয় এবং ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি’ করে।

যদিও বেইজিং’র বিরোধিতা উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনা সরকারি আধিকারিকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ৫ আগস্ট সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ করেছে সরকার, সেই বিলে লাদাখকে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা বলা হয়েছে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে না এবং অন্য দেশের থেকেও সেটাই আশা করে।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, সীমান্ত নিয়ে, রাজনৈতিক ভিত্তিতে দুই পক্ষ নায্য এবং পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে রাজি হয়েছে এবং ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে সমাধানে নীতি তৈরি করছে। তার কথায়, এমন একটি সমাধান বকেয়া থাকায়, দুই পক্ষই সীমান্তের প্রাসঙ্গিক চুক্তিগুলোর বিষয়ে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।