ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আর্থ্রাইটিস সারাবে মৌমাছির বিষ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ৮ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ইদানিংকালে কিশোর এবং যুবকরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা অবশ্যই রয়েছে, তবে তাতে এই রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। নতুন খবর হচ্ছে- আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি!

বিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছির বিষের সাহায্যে আর্থ্রাইটিসের দুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। হয়তো সারিয়েও ফেলা যেতে পারে। আর এ নিয়েই চলছে গবেষণা।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, মৌমাছির বিষের তৈরি ইনজেকশন আর্থ্রাইটিস সারিয়ে তুলতে পারে। আপাতত ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তারা। আর এই সাফল্যের পর মার্কিন গবেষকরা বিশ্বাস করছেন, মানব দেহের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর ফলদায়ক হবে।

এই মার্কিন গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী মৌমাছির বিষ থেকে সংগৃহীত ‘মেলিটটিন’ নামের পেপটাইড দিয়ে তারা ‘ন্যানো পার্টিকেলস’ বা অতি ক্ষুদ্র কণিকা তৈরি করেছেন। এই মেলিটটিনে রয়েছে উচ্চমাত্রার বেদনানাশক ক্ষমতা। মৌমাছি হুল ফোটানোর পর তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণার জন্য দায়ী এই মেলিটটিন।

গবেষকরা বলছেন, এই মেলিটটিনের সাহায্যে শরীরের তরুণাস্থিকেও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কোন দুর্ঘটনায় হাড়ে চোট লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে সময় শরীরে যদি মেলিটটিন প্রয়োগ করা যায়, তবে বড় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।

এই মেলিটটিন থেকে তৈরি ন্যানো পার্টিকেলস ইনজেকশনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। এই ইনজেকশন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক স্যামুয়েল উইকলাইন।

তবে মানুষের শরীরে মেলিটটিন কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে মার্কিন গবেষকদের আশা, দ্রুতই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।

এএইচ/