ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রাকিবুল-মৃত্যুঞ্জয়ে জয়ের পথে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেশের দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে শতাধিক রান তুলে রীতিমত হুমকি দিচ্ছিলো ভারত। তবে রাকিবুল হাসানের জোড়া আঘাতে সেই হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পরে মৃত্যুঞ্জয়ের আঘাতে উৎসবে মাঠে যুবারা। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৯ রান। অধিনায়ক প্রিয়াম গ্রার্গ ২০ ও ধ্রুব জুরেল ৯ রানে ক্রিজে আছেন। 

এর আগে ব্যাট হাতে ফিফটি করেন দুই ওপেনার ইয়াসাভি জ্যাসওয়াল ও দিব্বাংশ সাক্সেনা। প্রথম জন ঠিক ৫০ এবং পরেরজন পাঁচ রান বেশি অর্থাৎ ৫৫ করে আউট হন। দুজনেই শিকার হন লেগ স্পিনার রাকিবুল হাসানের। 

এরপর প্রাগনেশ দুর্গেশ মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে বোল্ড হয়ে। ফলে ২৭তম ওভারে ১২৬ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত যুবারা। 

এর আগে মাহমুদুল হাসান জয়ের অনবদ্য শতকে ভারতকে ২৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার যুব ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬১ রান করে অলআউট হয় টাইগার যুবারা। 

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় এ টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে ৮টি করে ম্যাচ খেলেছে প্রত্যেক দল। ৪ জয়, ১ পরাজয় ও ৩ পরিত্যক্ত ম্যাচে মোট ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের বিপক্ষে খেলা চার ম্যাচের মধ্যে পরিত্যক্ত হয় ২টি। বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে উভয় দলই জিতেছে একটি করে। তাই আজকের ফাইনালটি আক্ষরিক অর্থেই টুর্নামেন্টের সেরা দল বাছাইয়ের লড়াই।

হোভের কাউন্টি গ্রাউন্ডের এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল টাইগার যুবারা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৮.৪ ওভারে ৫৮ রান যোগ করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে আরও ৬৫ রান যোগ করেন পারভেজ ইমন। দারুণ ব্যাট করা পারভেজ আউট হন ৬০ রান করে। ৬৪ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি।

এরপর জয় ছাড়া ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি আর কেউই। যে কারণে একপর্যায়ে ২৫০ রানই মনে হচ্ছিল দুরূহ ব্যাপার। তবে ষষ্ঠ উইকেটে শামীম হোসেনের সঙ্গে জয় ৬৪ রানের জুটিতে সে লক্ষ্যে অনেকটা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শামীম ৩২ রান করে আউট হলে ব্যাট হাতে একাই লড়ে যান জয়। ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে যান এই ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান। 

শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরিও পূরণ করেন তিনি। তবে শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৯ চার ও ১ ছয়ের মারে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল। যার ফলে ২৬১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।

এদিন ভারতের হয়ে কার্তিক ত্যাগি ও সুশান্ত মিশরা দুটি করে এবং বিষ্ণু ও দলনায়ক হেগডে ১টি করে উইকেট লাভ করেন। এ ম্যাচে জয়সহ বাংলাদেশের তিনজন ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন। 

এনএস/