ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ঈদে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় (ভিডিওসহ)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১১:০২ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৯ রবিবার

রাজধানী ঢাকাতে এবার ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অন্য যেকোন বারের তুলনায় অনেক বেশি। ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসক ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন এর প্রকোপ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ঈদে শহরের ডেঙ্গু গ্রামে কতটা ছড়াবে?

এ নিয়ে একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’-এ আলোচনা করা হয়েছে। এতে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মামুন মোস্তাফি সিনিয়র কনসালটেন্ট, কিডনী রোগ বিভাগ, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

মামুন মোস্তাফি বলেন, ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর পর এর প্রভাব সাধারণত ৩ দিন অথবা ১৪ দিন পর দেখা যায়। তাই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত ডাক্তারের নিকটে আসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে।

যারা ইতোমধ্যে ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তারা গ্রামে যাবেন না। তবে ঢাকা ছাড়ার আগে যাদের জ্বর ছিল না, তারাই গ্রামে যাবে। এক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীরা ভোগান্তিতে পড়বে। কেননা গ্রাম অঞ্চলে তেমন দক্ষ চিকিৎসক নাও থাকতে পারেন।

তবে আশার দিক হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার পত্যন্ত অঞ্চলেও ডাক্তারদের ডেঙ্গু মোকাবেলায় বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

তবে ডেঙ্গু নিয়ে যদি কোনো রোগী হাসপাতালে যান তখন ডাক্তারদের উচিত হলো প্রথমে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে হাসপাতালে যদি ডেঙ্গু মোকাবেলায় আইসিইউ না থাকে তাহলে তাকে হাসপাতালে না রেখে, অন্য ভালো হাসপাতালে রেফার করা।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি শহর ছেড়ে গ্রামে যায় তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য পুরো দেশ ব্যাপী একটি আন্দোলন শুরু করতে হবে।

অপরদিকে মশা যে ডিম পাড়ে এ ডিম প্রায় এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। অনুকূল পরিবেশ পেলে তা ফুঁটে উঠে। এভাবে তারা বংশ বিস্তার করে।

ডেঙ্গু যখন  প্রথম আক্রমণ করে সেটি তেমন ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু এটি যখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে চলে যায় তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ডেঙ্গুর নিরাময়ে মামুন মোস্তাফি জানান, ব্যক্তিগত  প্রতিরোধই সবচেয়ে প্রথম বিষয়। ডেঙ্গু মশা সাধারণত হাতে ও পায়ে বেশি কামড়ায়। তাই এ দুটি স্থানকে রক্ষা করতে পারলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

আপনি যে এলাকায় থাকছেন সে এলাকা পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে সহজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ওই এলাকার সবাই এগিয়ে আসতে হবে। সর্বপরি প্রতিটি এলাকায় ডেঙ্গু মশা নিধনে সার্ভে গ্রুপ নিয়োগ করতে পারলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এমএইচ/