ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চামড়ার বাজারে নৈরাজ্য,রেকর্ড পরিমান কম দাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৩৬ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

বিগত ৪০ বছরে মধ্যে এবারই চামড়া সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না কেউই । এমন অভিযোগ মৌসুমী ব্যাবসায়ী ও চামড়া বিক্রেতাদের। এর জন্য  ট্যানারী মালিক ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়,রাজধানীর বাইরে সবচেয়ে ভালো মানের কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৬শ টাকায়। আর মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে ৫শ টাকার মধ্যে। যা গত বছরও ৭শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম দিচ্ছেন ২শ টাকারও কম। এক লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা।

ঈদের দিন সোমবার রাজধানীর মানিক নগর, সবুজবাগ, রায়েরবাগ এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি করা বেশিরভাগ পশুর চামড়া রাস্তায় পড়ে আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোরবানি সম্পন্ন হওয়া পশুর চামড়াগুলো কেনার জন্য তখনও কেউ আসেনি।

রাজধানীর লালবাগের সোহেল নামে এক ব্যাক্তি ২টি চামড়া বিক্রি করেন ৭শ টাকায় । অথচ গরুগুলোর দাম ছিলো ২ লাখ টাকা করে। এতে গরীব মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়েছে বলে ক্ষোভ জানান তিনি।

এ জন্য টেনারী মালিকদের অসহযোগিতাকে দায়ী করলে কাচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তারা বলেন, এই শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এভাবে চললে এই শিল্প শেষ হয়ে যাবে বলে আশংকা করেন ব্যবসায়ীরা।

সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আড়তদার ও ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার কমিয়ে দিয়েছেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন আড়তদার ও ট্যানারি মালিকেরা। 

সন্ধ্যার পর লালবাগের পোস্তায় চামড়ার পাইকারি বাজারে ভিড় করেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া আসছে সেখানে। শুরু হয়েছে বেচাকেনা। তবে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, সেখানেও ব্যাপক দরপতন হবে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আড়তদার  টিপু সুলতান বলেন, কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশি দামে চামড়া কিনছেন। না বুঝে ব্যবসা করতে এসে আড়তদারদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চামড়া কেনা শুরু করব আরও কয়েক দিন পর। এখন দরপতনের সঙ্গে আমাদের যুক্ত করার বিষয়টি আশ্চর্যের। আমার মনে হয় গুজব ছড়িয়ে কেউ কেউ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। পোস্তায় চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে অনেকে বিভ্রান্ত হন। আশঙ্কা আর আতঙ্কে লোকসান দিয়ে চামড়া বিক্রি করে দেন।’

এনএম