ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

৭৫-এর কুশীলবরা এখনো আড়ালে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার


শোকাবহ পনেরোই আগস্ট আজ। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ এর কালরাতে জাতির পিতাকে স্বপরিবারের হত্যা করে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর ছোটো ছেলে শিশু রাসেলও। দীর্ঘদিন পর খুনীদের বিচার হলেও নেপথ্যের কূশীলবরা এখনো আড়ালে বলে আক্ষেপ স্বজনদের। 
বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালীর অহঙ্কার।  ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের দুর্দান্ত সংগঠক, পাকিস্তানী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার সংগ্রামী, পুর্ববাংলার স্বাধীকারের ৬ দফার পক্ষে জনমত গঠনের কারিগর, সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশের শ্রষ্ঠা শেখ মুজিবুর রহমান। 
যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু যখন বুনে চলেছেন মাতৃভুমি, তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। আঘাত হানলো বিপথগামি কিছু সেনাকর্মকর্তা। মধ্যরাতে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে খুনিচক্র হত্যা করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। 
হত্যা করা হয় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল সাথে দুই পুত্রবধু, একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে। বঙ্গবন্ধুর আদরের সন্তান শিশু রাসেলকেও ছাড়েনি খুনিরা। একই রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বজনদেরও খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়।  
আবারো পাকিস্তানি ভাবধারায় হাটতে শুরু করে বাংলাদেশ। ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। 
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে রুদ্ধ করা হয় বিচারের পথ। একুশ বছর বিচার চাইতে পারেননি স্বজনরা, নীরবে শুধু চোখের পানি ফেলেছেন। 
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীরাও এ ষড়যন্ত্রের অংশ, তাই তাদেরকেও দাঁড় করা দরকার বিচারের কাঠগড়ায়।