ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এমআইটি‘তে বৃত্তি পেলেন বাংলাদেশী কিশোর

সরওয়ার হোসেন, লন্ডন

প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এমআইটি‘তে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার পাউন্ডের শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আসুফ আহমেদ। একই সাথে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগও পেয়েছেন তিনি। তবে ১৮ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থী এমআইটিতে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে তিনি পদার্থবিদ্যা এবং অ্যারোস্পেস ইন্জ্ঞিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন।
পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম কলেজিয়েট সিক্সথ ফর্ম কলেজে পড়শোনা করেছেন আসুফ আহমেদ।
 

এ কলেজ থেকে তিনি নির্বাচিত শিক্ষার্থী দলের সঙ্গে গত বছর ইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান। সেখানে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানে অংশগ্রহণ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং ভাল কলেজে ভর্তির বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত হন। এ সফরের পূর্বে কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আমেরিকার স্যাট পরীক্ষার জন্য আমেরিকা থেকে বিশেষায়িত শিক্ষক আনা হয়েছিল। স্যাট পরীক্ষায় আসুফ অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এরপর তার কাছে এ্মআইটির শিক্ষাবৃত্তির চিঠি আসে। 

যদিও কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ তার ভর্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। এমআইটি‘র পর আসুফের কাছে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির বিষয়ে সুযোগ আসে। এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে তিনি বলেন, ‘গত জানুয়ারীতে ক্যামব্রীজ থেকে যখন প্রত্যাখ্যাত হই, তখন আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমার স্বপ্ন ছিল জীবন পরিবর্তন করতে পারে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সত্যি বলতে কি আমি ভাবতে পারিনি যেখানে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তির সুযোগ পাইনি সেখানে কিভাবে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব। এরপর এমিআইটি থেকে অফার আসে, আসে হার্ভাড থেকেও। এটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে, আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।’

২০১৭ সালে একই কলেজ থেকে আরেক ব্রিটিশ বাংলাদেশী তাফসিয়া সিকদার ভর্তি হয়েছিলেন এমআইটিতে। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন আসুফ। তিনি বলেন, ‘যখন আমি জানলাম এই কলেজ থেকেই তাফসিয়া এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে আমি ভাবলাম আমি নই কেন?’ তারা দুজনে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পিছিয়ে থাকা পূর্ব লন্ডনের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুধ্ব করবে বলে মনে করেন আসুফ। কলেজের অধ্যক্ষ মোহসিন ইসমাইল জানান, ‘এটা আমাদের নতুন যুগের সূচনা। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বড় স্বপ্ন দেখুক।’

এমএস/এনএম