ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

সোমবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪১ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

সোমবার এক দ্বিপক্ষীয় সফরে রাজধানী ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সফরে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন কোনো সমাঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হবে না বলে জানা যায়। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয়গুলো নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আলাপ করবেন। 

এস জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম ঢাকা সফর। সফর শেষে আগামী ২১ আগস্ট তিনি নয়া দিল্লি ফিরবেন বলে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়। সফরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, ‘এই সফরে নতুন কিছু স্বাক্ষর হবে না। দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয় নিয়ে বৈঠক (ফরেন অফিস কনসালটেশন) হবে।’

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী আগস্টে ঢাকা আসবেন। এটা হবে তার সৌজন্য সফর। আমি পবিত্র হজপালন শেষে ১৭ আগস্ট ঢাকা আসব। এরপর তিনি আসবেন।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এস. জয়শংকরের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের প্রথম সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত ১৪ জুন (শুক্রবার) সঙ্গে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে (৫ম শীর্ষ সিকা সম্মেলনের ফাঁকে সাইড লাইনে Conference on Interaction and Confidence Building Measures in Asia, CICA)। ঐ সময়ে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা (mature sensitivity) প্রদর্শন করেছে। ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার (gateway) হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর তখন আরও বলেন, ‘বিমসটেক (BIMSTEC)-কে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগ (regional connectivity) এর ওপর সমধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।’

এমএস/