ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কিনতে চান ট্রাম্প,ডেনমার্কের নাকোচ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনে নিতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তিনি গোপনে তার সহযোগী ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু গ্রিনল্যান্ড স্পষ্ট বলেছে যে, ‘এটি বিক্রয়ের জন্য নয়’।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরিধি বাড়াতে গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কিনে নিতে চান ট্রাম্প। এ নিয়ে তিনি নৈশভোজে একটি বৈঠকে তার সহযোগী ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, ‘দ্বীপটি ব্যবসা করার জন্য উন্মুক্ত, তবে বিক্রয়ের জন্য নয়।’

এদিকে গ্রিনল্যান্ড কেনার কথা শুনে বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের কয়েকজন উপদেষ্টা। আবার হোয়াইট হাউজের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।

অন্যদিকে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করায় গত শুক্রবার  যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা। 

রয়টার্স জানায়, ড্যানিশ পিপলস পার্টির পররাষ্ট্র-বিষয়ক মুখপাত্র ও এমপি সরেন এসপারসন বলেন, তিনি যদি সত্যিই এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন, তাহলে তিনি যে উন্মাদ হয়ে গেছেন, এটা তার চূড়ান্ত প্রমাণ।

ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন টুইট বার্তায় বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি রসিকতা।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গ্রিনল্যান্ড খনিজ সম্পদ, বিশুদ্ধ পানি ও বরফ, মাছের মজুদ, সামুদ্রিক খাবার, নবায়নযোগ্য জ্বালানিশক্তিসহ নানান মূল্যবান সম্পদে ভরপুর। রোমাঞ্চকর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গ্রিনল্যান্ড সুপরিচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য আমাদের দরজা খোলা, কিন্তু বিক্রির জন্য নয়।’ 

সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডেনমার্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে সফরকালে ডেনমার্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয় নিয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

গ্রিনল্যান্ড উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। দ্বীপটি বরফাচ্ছাদিত। ২০ লাখ বর্গকিলোমিটারের গ্রিনল্যান্ড দ্বীপে অধিবাসীর সংখ্যা ৬০ হাজারের মত। কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে গ্রিনল্যান্ডে। দ্বীপটির কৌশলগত অবস্থান এবং এর খনিজ সম্পদের কারণে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর নজর পড়ছে এর ওপর।

গ্রিনল্যান্ড কেনার ধারনা নিয়ে  প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ট্রাম্পের আগে ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১০ কোটি ডলারে এটি কেনার প্রস্তাব করেছিলেন। এর আগে আলাস্কার একটি অংশের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের কিছু কৌশলগত অংশ বদল করার পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রুম্যান।   

এনএম