ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞামুক্ত হচ্ছেন শ্রীশান্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

পাক ক্রিকেটার শারজিল খানের পর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি থেকে এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটার শান্তাকুমার শ্রীশান্ত। ৩৬ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন ক্রিকইনফো। 

২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট-ফিক্সিংয়ের জন্য আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় জাতীয় দলের এক সময়ের পেসার শ্রীশান্তসহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার। বাকি দুজন হলেন- অজিত চন্ডালি ও ওজিত চাহান। ইতোমধ্যে ছয় বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফেলেছেন এই ত্রয়ী। তবে এদের মধ্যে শুধু শ্রীশান্তকে দায়মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

সে অনুযায়ী, আগামী বছর সেপ্টেম্বর থেকে স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত শ্রীশান্তের দায়মুক্তি হবে বলেই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের অম্বুডসম্যান ডিকে জৈন।

এ প্রসঙ্গে ডিকে জৈন বলেন, ‘শ্রীশান্তর বয়স এখন ত্রিশের বেশি। ক্রিকেটার হিসেবে নিজের সেরা সময়টাই তিনি ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন। আগামী বছর (অক্টোবরে) তিনি চাইলে ক্রিকেটে ফিরতে পারেন।’ যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে- আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে সর্বমোট সাত বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষে দায়মুক্ত হচ্ছেন শ্রীশান্ত।

কেরালার এই পেসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালের ৯ মে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে ফিক্সিং করেছিলেন তিনি। মোহালিতে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান দিয়েছিলেন শ্রীশান্ত। অর্থাৎ ওই ওভারে তিনি যে অতো রান দিবেন সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। ওই ওভারে বাড়তি রান দিয়ে ১০ লাখ রুপি পেয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের এই বোলার। যদিও পরে তার দল ৮ উইকেটের জয় পায়।

টিম ইন্ডিয়ার এক সময়ের সদস্য শ্রীশান্তকে শেষবার ভারতের জার্সিতে দেখা গেছে ২০১১ সালে। জাতীয় দলের হয়ে তখন পর্যন্ত ২৭টি টেস্ট, ৫৩টি ওয়ানডে ও ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। উইকেট শিকার করেছেন যথাক্রমে ৮৭, ৭৫ ও ৭টি। 

এদিকে, শাস্তি কমে যাওয়ায় যারপরনাই বেশ খুশি শ্রীশান্ত প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন নিজের সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে। পরে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং তার পাশে দাঁড়ানো সবাইকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এমনকি বয়স এখন ৩৬ হলেও আগামী পাঁচ বছর ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন কেরালার এই ক্রিকেটার। 
 
এনএস/