ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

অস্বাভাবিক হারে গলছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৯ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

গ্রীনল্যান্ডের বরফ অস্বাভাবিক হারে গলছে যাতে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এমন ‘দুঃসংবাদ’ জানালেন বিজ্ঞানীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি দ্বীপটিতে একদিনেই ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে, এমনটা জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সমুদ্র বিষয়ক একটি দল। এমনটি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে পৃথিবীর সব সমুদ্রের পানি উপকূল ছাপিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে দলটি।

গ্রীনল্যান্ড যে পরিমাণ বরফ রয়েছে তা গলে গেলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা প্রায় ২৫ ফুট বাড়বে। যার ফলে পৃথিবীর সব সমুদ্রের পানি উপকূলের সীমা ছাড়িয়ে প্রবাহিত হবে। দ্বীপটিতে দ্রুতগতিতে বরফ গলার কারণেই ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার সমুদ্রগুলোর পানির পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর হুমকি পরবে।

২০১২ সালে গ্রিনল্যান্ডে ৪০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ গলেছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে চার গুণ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরফ গলেছে দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ড অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য এত দিন ওই অঞ্চলকে হুমকি মনে করা হতো না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা, এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে উষ্ণতা বাড়ার হার কতটা অস্বাভাবিক তা যাচাইয়ের জন্য গবেষণা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

এ বছরের ২ আগস্ট ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে বলে নাসার একটি গবেষণায় উঠে আসে। পরিবেশ বিপর্যয় কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এরই উদাহরণ এটি। বাতাস ও সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার হার অনুসন্ধানে কাজ করছেন নাসার সমুদ্রবিষয়ক বিজ্ঞানীরা। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবেই গ্রীনল্যান্ডে বরফ গলে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রগুলোর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর সব সমুদ্রই একে অন্যের সঙ্গে মিশে আছে।

নাসার গবেষণাগুলো মহাকাশ সম্পর্কিত হবে এমনটাই ধারণা করা হয়। তবে সম্প্রতি মার্কিন এক জরিপে উঠে আসে, চিরাচরিত মহাকাশ গবেষণায় প্রাধান্য না দিয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব তদারকি করবে নাসা, এমনটাই প্রত্যাশা মার্কিনিদের।

এমএস/এসি