ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বজ্রপাতে সৌদি প্রবাসীসহ ১২ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে সৌদি প্রবাসীসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুরের পৃথক তিন উপজেলায় বজ্রপাতে এক সৌদি প্রবাসীসহ ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিন দুপুরে জেলার সালথা, নগরকান্দা ও আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে পতিত বজ্রে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বিল্লাল মাতুব্বর (৪৭), হাসি বেগম (৫৩), হাফিজুর শরীফ (২৮) ও  ইমরান (২৫)। 

জানা যায়, এদিন দুপুরে সালথা উপজেলার বাতাগ্রাম, কাগদি-স্বজনকান্দা, আলফাডাঙ্গার বড় বাহিরদিয়া ও নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের মধ্যে সৌদি প্রবাসী বিল্লাল মাতুব্বর সালথা উপজেলার বাতাগ্রামের মৃত ইসমাইল মাতুব্বরের ছেলে, হাসি বেগম কাগদি-স্বজনকান্দা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও হাফিজুর শরীফ বড় বাহিরদিয়া গ্রামের সিরাজ শরীফের পুত্র। আর নিহত ইমরান নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের পাউচা বেপারীর পুত্র।

মাঝারদিয়া ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াদ আলী জানান, বিল্লাল মাতুব্বর সৌদি থেকে ঈদের আগে দেশে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টির সময় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে তার মাথার উপর বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে তার ছেলে সুস্থ্য আছে।

একই উপজেলার কাগদি বাজারের ব্যবসায়ী মো. লিটন জানান, কাগদি গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী হাসি বেগম দুপুরে বৃষ্টির সময় রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। এসময় রান্নাঘরের উপর বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই হাসি বেগম মারা যান। 

এছাড়া নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের কৃষক পাইচা বেপারীর পুত্র ইমরান মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এদিকে, আলফাডাঙ্গা ইউনিয়নের গোপালপুর ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল মোল্যা জানান, ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া এলাকায় নদীর পানিতে পাট ধোয়ার সময় বজ্রপাতে হাফিজুর নিহত হন। তিনি জানান, নিহত হাফিজুরের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ সিরাজ শরিফ।

প্রায় একই সময়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পৃথক দুই স্থানে বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতমারা চর এলাকার আমিরুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী ফেলানী খাতুন (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের চর বাটিয়া গ্রামের তহসিন আলীর ছেলের সুমন মিয়া (৩২)।

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় বজ্রপাতে মতিউর রহমান ফরাজী (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের মৃত ধলু ফরাজীর ছেলে।

এছাড়া দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মঙ্গল চন্দ্র সরকার (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মঙ্গল চন্দ্র সরকার উপজেলার মৌহালী এলাকার মৃত লালু চন্দ্র সরকারের ছেলে।

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে মাগুরায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার সময় বজ্রপাতে ওয়ালিদ বিশ্বাস (৩৪) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার নলদাহ গ্রামের অরুণ বিশ্বাসের ছেলে।

বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বজ্রপাতে ধুইতা সেখ (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।

অন্যদিকে সন্ধ্যায় জামালপুরের মাদারগঞ্জে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের খিলকাঠি গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে সারোয়ার হোসেন (১৫) এবং একই ইউনিয়নের চরগোলাবাড়ী নামাপাড়া গ্রামের গণি মিয়ার ছেলে রাসেল (২২)।