ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

লাইসেন্স বাতিল হতে পারে গ্রামীণফোন ও রবির 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

পাওনা টাকা উদ্ধার করতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। পাওনা টাকা উদ্ধার করতেই বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, প্রথমে এই দুই মোবাইল কোম্পানির ওপর ব্যান্ডউইথের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটা তুলে এনওসি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো সেই সিদ্ধান্ত বহাল। কিন্তু তারপরও তারা টাকা না দেওয়ায় এবার তাদের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এ জন্য তাদের শোকজ করতে চায়। তার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। গত বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে সেই অনুমোদনও মিলেছে। এ সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে চিঠি যাচ্ছে।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বিটিআরসি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নেবে। মন্ত্রণালয় অভিভাবক হিসেবে তাদের যে ধরনের সহযোগিতা দেওয়া দরকার আমরা সেটা দেব।’ 

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুক হক বলেন, ‘আমরা লাইসেন্স বাতিলের শোকজ করার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছি। শিগগিরই তাদের কাছে চিঠি যাবে।’ এ সপ্তাহেই এমন চিঠি যেতে পারে কি-না? জানতে চাইলে বিটিআরসির এক জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা চিঠি দেব। সেটা এ সপ্তাহেই হতে পারে। রাষ্ট্রের টাকা উদ্ধারে সব চেষ্টাই করা হবে।’

গত ২৪ জুলাই বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশন বৈঠকের ২৮ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘অডিটের মাধ্যমে শনাক্ত করা গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা তারা পরিশোধ না করে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ এর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছে। ফলে একই আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না-তা ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’ কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, এটা জানতে চেয়ে শীর্ষ দুই অপারেটরের কাছে চিঠি যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এনএম