ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ষোড়শীকে বিয়ে করায় শ্রীঘরে আমির হামজা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২৬ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১২:১৩ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ষোড়শী কন্যাকে বিয়ে করতে গিয়ে শ্রীঘরে যেতে হল আমির হামজা নামের এক যুবককে। একইসঙ্গে বরেব পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও এই অপরাধে সহযোগিতা করায় আইনজীবীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) বেলা ৩টার দিকে কলারোয়া পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর গ্রামের এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেন। 

এসময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিবাহের অপরাধে ওই গ্রামের বর আমির হামজাকে (২০) ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তার পিতা হযরত আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে এফিডেভিট করে মেয়ের বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহে সহযোগিতা করার অপরাধে সাতক্ষীরা আদালতের আইনজীবী হাসানাত মনিরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহা. রাজিব হোসেন জানতে পারেন যে, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে কলারোয়া পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আমির হামজার সঙ্গে একই গ্রামের ১৬ বছর বয়সী এক কন্যার বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি পার্শ্ববর্তী মুরারীকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। 

এ খবরে শুক্রবার দুপুরে থানা পুলিশের এসআই মাসুদ, এএসআই মফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব হোসেন জানান, ‘নিকাহনামার মিথ্যা কাগজপত্র উপস্থাপন করে কাজী ও মৌলভীর স্বাক্ষর ছাড়াই সেই ফরমে পাত্র-পাত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করায় আইনজীবী হাসানাত মনিরকে ও বরের পিতাকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বরকে শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ‘বুধবার কলারোয়ায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) বাল্যবিবাহের বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে জানিয়েছিলেন যে, বয়স এফিডেভিটসহ বাল্যবিবাহে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়। তার পরেও কিভাবে একজন সচেতন মানুষ হয়ে আইনজীবী হাসানাত মনির বাল্যবিবাহের সহযোগিতা করেন।

এনএস/