ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লেখক-সাংবাদিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৮:৫৮ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

প্রগতিশীল লেখক-সাংবাদিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৮ সালের আজকের দিনে ঢাকায় মৃত্যু হয় তার। ১৯১১ সালে গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্ম নেন এই সাহিত্যিক।

আবু জাফর শামসুদ্দীন কর্মজীবনের শুরুতে কলকাতায় দৈনিক সুলতানের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৩১ সালে তিনি সরকারের সেচ বিভাগে যোগ দেন। ১৯৪২ সালে সেচ বিভাগের কাজ ছেড়ে কটকে নির্মাণাধীন বিমানঘাঁটি তদারকি অফিসের হেড ক্লার্ক পদে যোগ দেন। কয়েক মাস পর তিনি এ চাকরি ছেড়ে আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। এ সময় তিনি দৈনিক আজাদে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের অক্টোবরে পত্রিকাটি কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসার পর তিনি সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে আজাদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি প্রকাশনা সংস্থা কিতাবিস্তান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০-৫১ সালে তিনি সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

উপন্যাস লেখার মধ্য দিয়ে আবু জাফরের সাহিত্যিক জীবন শুরু। ১৯৪৭ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘পরিত্যক্ত স্বামী’ প্রকাশ হয়। উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ ও গল্পও লিখতেন। তার রচনায় গণমানুষের সংগ্রাম ও উদার মানবতাবাদের পরিচয় পাওয়া যায়।

তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-

উপন্যাস : ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান, পদ্মা মেঘনা যমুনা, প্রপঞ্চ, দেয়াল ইত্যাদি। গল্প :জীবন, রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, ল্যাংড়ী।

প্রবন্ধ : চিন্তার বিবর্তন ও পূর্ব পাকিস্তানী সাহিত্য, সোশিওলজি অব বেঙ্গল পলিটিক্স, সোচ্চার উচ্চারণ, লোকায়ত সমাজ ও বাঙালি সংস্কৃতি ইত্যাদি।

এ ছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি জীবনী, আত্মজীবনী, নাটক, ভ্রমণকাহিনী এবং স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ রচনা করেন। শিল্পীর সাধনা ও পার্লে বাকের সেরা গল্প তার দুটি অনুবাদগ্রন্থ।

সাংবাদিক সমাজ ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, সমকাল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, শহীদ নূতনচন্দ্র সিংহ স্মৃতিপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার এবং মৃত্যুর পর ফিলিপস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

এসএ/